মোঃ মজিবর রহমান শেখ,,
ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় অঞ্জনা বালা (৬০) অনেকের কাছে ধরনা দিয়ে ক্লান্ত হয়ে অবশেষে ইউএনও’র পদক্ষেপে ৩০ মিনিটের মধ্যে বিধবা ভাতাভুক্ত হলেন। সোমবার ১৭ জানুয়ারি বিকালে রানীশংকৈল উপজেলা ইউএনও সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ এ ভাতার ব্যবস্থা করে দেন। অঞ্জনা রানীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়ের গুয়াগাঁও গ্রামের মৃত সোনা রামের স্ত্রী। তার স্বামী ১৯৮৭ সালের বন্যার সময় সাপের কামড়ে মারা যান। ২ ছেলে ১ মেয়ে নিয়ে দীর্ঘদিন নিদারুন কষ্টের মধ্যে জীবন চালিয়ে আসছিলেন অঞ্জনা । কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সংসারের ঘানি টানতে না পেরে তিনি ভিক্ষা করে সংসার চালাচ্ছেন । প্রায় ১ যুগ ধরে ধরে সে বিভিন্ন স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের দারস্ত হয়েও শেষ পর্যন্ত ভাতা পাইনি অঞ্জনা। টাকা দিতে পারেনি বলে তার ভাতা এতদিন হয়নি বলেও তিনি জানান।
অবশেষে অঞ্জনা বালা রানীশংকৈল উপজেলা ইউএনও’র কাছে আবেদন নিয়ে গেলে তিনি সমাজসেবা অফিসারকে ডেকে সবকিছু দ্রুত যাচাই বাছাই করে তার ভাতার বিষয়টি দেখতে বলেন। রানীশংকৈল উপজেলা ইউএনও’র নির্দেশের প্রেক্ষিতে সমাজসেবা কর্মকর্তা যথারিতি বিষয়টি দেখে অঞ্জনাকে ভাতার আওতায় নিয়ে আসেন। অঞ্জনা আগামী তৃতীয় ধাপের কিস্তিতে একসাথে ৬ মাসের বিধবা ভাতার টাকা পাবেন বলে রানীশংকৈল উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান।