মোঃ মজিবর রহমান শেখ,,
ঠাকুরগাঁওয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের দৃশ্য ধারণ করায় সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ২৯ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার সেনুয়া ইউনিয়নের মণ্ডলপাড়া গ্রামে এ হামলা চালান ছাত্রলীগ কর্মীরা। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন ৪ সাংবাদিক।
তারা হলেন- ইত্তেফাক ও ইনডিপেনডেন্ট টিভির প্রতিনিধি তানভীর হাসান তানু, নিউজ বাংলার প্রতিনিধি সোহেল রানা, রাইজিংবিডির প্রতিনিধি মহিউদ্দীন তালুকদার হিমেল ও ঢাকা মেইলের প্রতিনিধি জাহিদ হাসান মিলু। তাদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে তানুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা গেছে, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন সামনে রেখে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। এরই অংশ হিসেবে শনিবার সেনুয়ার মণ্ডলপাড়ায় একই স্থানে কর্মসূচি ছিল আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নোবেল কুমার সিংহ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা মতিউর রহমানের। এ নিয়ে উভয় প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে নৌকা প্রতীকের সমর্থক স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মীরা গাছের ডালপালা ভেঙে হামলার প্রস্তুতি নেন। সেই দৃশ্য ধারণ করতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর তারা হামলা চালান। ছিনিয়ে নেওয়া হয় ক্যামরা ও মোবাইল ফোন। এ সময় উভয় প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকার প্রার্থী নোবেল বলেন, ছাত্রলীগ কর্মীরা নয়; বরং স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে।
সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে ২৯ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের আয়োজনে ঠাকুরগাঁও শহরের চৌরাস্তায় প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় নেতারা ছিনিয়ে নেওয়া ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন অবিলম্বে ফিরিয়ে দেওয়া সহ অভিযুক্তদের আটকের দাবি জানান। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম জানান, সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।