বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের প্রাণনগরে শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী -২০২২) দুপুরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের অধিনে পূণভবা নদী খনন কাজের ফলক উম্মোচনের শুভ উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। উদ্বোধন শেষে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) আয়োজনে দিনাজপুর জেলার পুনর্ভবা নদীর খনন এর কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে বীরগঞ্জে বটতলী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ মাঠে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠানে এনজিপি, এনডিসি, পিএসসি,বিএন, বিআইডবিউটিএ এর চেয়ারম্যান কমডোর গোপাল সাদেকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। তিনি তার বক্তব্য বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখহাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। সারা দেশে নদী খনন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। নদী খননে কৃষকরা যেমন কৃষি কাজে সেচ ব্যবস্থা পাবে অন্যদিকে সাধারণ মানুষের মৎস্য চাহিদা পুরন হবে। অপর দিকে সারা বছর নদীগুলোতে পানি থাকবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আজিজুল ইমাম চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল, সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল ইসলাম। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদের, বীরগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল ওয়ারেস, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ভোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ রাজিউর রহমার রাজু, সাতোর ইউনিয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন রাজা। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুর ইসলাম নুর। এক সাক্ষাৎকারে এনজিপি, এনডিসি, পিএসসি,বিএন, (বিআইডব্লিউটিএ)এর চেয়ারম্যান কমডোর গোপাল সাদেক সাংবাদিকদের জানান, ১৪০ কোটি টাকা ব্যায়ে ৭টি প্রকল্পে ৭৮ কিলোমিটার খনন কাজ করা হবে। দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, নদীটি খনন হলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন দিনাজপুর সদর, কাহারোল, বিরল ও বীরগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা। নদীটি খননের ফলে নদীতে পানি সব সময় থাকবে। অপরদিকে দিনাজপুর সদর উপজেলার পুনর্ভবা নদীতে নির্মিত গৌরীপুর সুইচ গেটটি নির্মানের ফলে শুস্ক মৌসুমের নদীতে বেশি করে পানি ধরে রাখতে সম্ভব হবে। জানা গেছে, পুনর্ভবা নদীর ৩৩ কিলোমিটার খনন কাজের জন্য পৃথক ৫টি প্যাকেজে ৫টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ কোটি ৪৯ লাখ ১৬ হাজার টাকা ব্যয়ে নদীর ৫ কিলোমিটার খনন করবেন ঢাকার কনক কনস্ট্রাকশন কোং, ২৫ কোটি ৭২ লাখ ৬৮ হাজার ৯৬০ টাকা ব্যয়ে নদীর ৭ কিলোমিটার যৌথভাবে খনন কাজ করবেন মেসার্স তাজুল ইসলাম এবং বেঙ্গল স্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। ৩১ কোটি ৩৩ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকা ব্যয়ে পুনর্ভবা নদীর ৮ কিলো মিটার যৌথভাবে খনন কাজ করবেন নবারুণ ট্রেডার্স লিমিটেডে এবং এম এম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। ২২ কোটি ২৬ লাখ ৩৬ হাজার ৬০০ টাকা ব্যয়ে পুনর্ভবা নদীর ৭ কিলোমিটার খনন কাজ করবেন এস এস রহমান ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। ১৮ কোটি ১৪ লাখ ৭ হাজার ৬০০ টাকা ব্যয়ে নদীর ৬ কিলোমিটার যৌথভাবে খনন কাজ করবেন এস এস রহমান ইন্টারন্যাশনার লিমিটেড এবং আব্দুল্লাহ ট্রেডিং অ্যান্ড কোং।