বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শিবরামপুর, পলাশবাড়ী, শতগ্রাম,পাল্টাপুর,সুজালপুর, নিজপাড়া,মোহাম্মদপুর, ভোগনগর,সাতোর, মোহনপুর, মরিচাসহ ১১টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে শীত জেকে বসেছে। হিমেল হাওয়া আর মৃদু শৈতপ্রবাহ কাবু করেছে শীতার্ত মানুষদের। পৌষের শুরুতে জেঁকে বসেছে শীতে বিপদে পড়েছে শীতার্তা মানুষ। মহাসড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুন কুয়াশা ছড়িয়ে পড়েছে। এই কুয়াশার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের সাতটি জেলা রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ব্যয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে,শৈত্যপ্রবাহ ও ঘুন কুয়াশা থাকতে পারে আরও দুই দিন। গত চার থেকে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সর্বত্রই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। প্রচন্ড শীতে কাঁপছে বীরগঞ্জ উপজেলাবাসী। গরম কাপড়ের দোকানে উপছে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পৌষ মাসের শুরু সাথে সাথেই শীত জেঁকে বসেছে । এতে সর্বত্র কুয়াশার চাদের ঢাকা পড়েছে। তাপমাত্রা নেমে আসার পাশাপাশি প্রচন্ড হিমেল হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছেন উপজেলার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রা। ঘুন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া যুক্ত হয়ে জনজীবন নাকাল করে তুলেছে। গত তিন দিনে সূর্যের দেখা মিলেও শুক্রবার সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। বিশেষ করে রিক্সা – ভ্যান শ্রমিক ,কৃষক -কৃষোণীদের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে। কনকনে শীতে বৃদ্ধা ও শিশুদের মাঝ ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন ধরণের রোগ দেখা দেওয়ার আঙ্কা করা হচ্ছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহে পর্যাবৃত্ত পরিমাণে শীতবস্ত্র ও কম্বল না থাকায় বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষেরা। ঘন কুয়াশার কারণ দূরপালার যানবাহনগুলো হেডলাট চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। শীতকালীন ফসল সরিষা, গম,আলু, বেগুন, পেঁয়াজ, মরিচ ও বোরোধানের বীজতলায় শীত রোগে আক্রমণের প্রভাব ফেলেছে।