দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে খুলনাগামী রকেট মেইল ট্রেনের ধাক্কায় হামিদুল ইসলাম ও সুশান্ত রায় নামে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে পার্বতীপুর-ফুলবাড়ি রেল রুটের পার্বতীপুরের কয়লা খনি সংলগ্ন রসুলপুর-মোবারকপুর এলাকার মাঝে রেললাইন পারাপারের সময় রেলগেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, হামিদুল ইসলাম (৪০) নীলফামারী জেলায় কিশোরগঞ্জের একটি বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত এবং কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুরের কনছের আলীর ছেলে। অপরজন সুশান্ত রায় (৪২) নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার কৈমারি পাটোয়ারী পাড়া গ্রামের মৃত অলন্দ মোহন রায়ের ছেলে এবং পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
জানা যায়, মৃত হামিদুল ইসলাম দুইদিন অফিস ছুটির কারণে মোটরসাইকেলযোগে এক সহকর্মীর বাড়ি রাজশাহী যাচ্ছিলেন। পথে এই দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
পার্বতীপুর জিআরপি থানার ওসি মো. একেএম নুরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পার্বতীপুর-ফুলবাড়ি রেলরুটের পার্বতীপুরের কয়লাখনি সংলগ্ন রসুলপুর গ্রাম এলাকার রেললাইন পারাপারের রেলগেটটি অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। সেখানে রেলক্রসিং পার হচ্ছিল মোটরসাইকেল নিয়ে দুই আরোহী। এসময় পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী রকেট মেইল ট্রেনের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। প্রচন্ড শব্দে মোটরসাইকেলটি রেলওয়ের ৩৬৪ নম্বর খুঁটির কাছে ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।
তিনি আরও জানান, নীলফামারী জেলায় একটি বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত হামিদুল ইসলাম ভালোভাবে মোটরসাইকেল চালাতে জানতেন না। তাই রাজশাহী যেতে মোটরসাইকেল চালাতে পরিচিত ঘনিষ্ঠ সুশান্ত রায়ের সহায়তা নেন তিনি। যাওয়ার পথিমধ্যে রেলক্রসিং এ দূর্ঘটনা ঘটে।