দিনাজপুর প্রতিনিধি \
এক দম্পত্তির বিয়ের ৭ বছর পর একসাথে ৩ সন্তানের জন্মলাভে সবাই খুশি। তিন শিশুই বর্তমানে সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে। বহু চিকিৎসার পর মিলেছে এ সন্তান। এদের দু’টি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নবাবগঞ্জের ভাদুরিয়া ইউপির টাকামতি গ্রামের আব্দুস সালামের কন্যা উম্মে কুলসুম প্রসব করেছেন এই তিন সন্তান। এতোদিন সন্তানের জন্য চিকিৎসকের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হলেও এখন একসাথে ৩ জনের ভরন-পোষনের চাহিদা মেটাতে সকলের সাহায্য-সহযোগিতা ও দোয়া চাচ্ছেন এ দরিদ্র দম্পতি। যেন আনন্দের মাঝেও বিষাদের ছায়া বিরাজ করছে। দম্পতি দু’জনই গাজীপুরের একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার মোঃ মিজানের সাথে উম্মে কুলসুমের বিয়ে হয় ২০১৬ সালে। তবে এ দম্পতি সন্তানের জন্য মরিয়া হয়ে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসার জন্য ছুটোছুটি করছিলেন। শেষ পর্যন্ত ঢাকার একজন গাইনী চিকিৎসকের ধারাবাহিক পরামর্শে গর্ভে সন্তান ধারণ করেন উম্মে কুলসুম। আর গতকাল শুক্রবার দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সে একে একে ৩টি সন্তান স্বাভাবিক প্রসব করেন কুলসুম। জানাজানি হলে হাসপাতালে শিশুগুলোকে দেখার জন্য ভীড় করে মানুষ। তবে ৩ শিশুকে সুস্থ রাখতে দ্রæত তাদেরকে দিনাজপুর চেক-আর স্পেশালাইজড হসপিটালের এনআইসিইউতে রাখা হয়। সেখানে তাদের খাওয়া দাওয়া থেকে সবকিছু নিয়মমত দিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখার কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে শিশুগুলোর মা উম্মে কুলসুমকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের একলেমসিয়া ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন।
শিশুর পিতা মোঃ মিজান জানান, বিয়ের ৭বছর পর সন্তান পেয়ে আমরা খুশী।তবে একসাথে ৩সন্তানের ভরন-পোষন নিয়ে চিন্তিত। আমরা দুজনেই দরিদ্র গার্মেন্টস কর্মী। বর্তমান হাসপাতালের সিসিইউ এর চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ নিয়েও গভীর হতাশায় দিন কাটাচ্ছি।
এব্যাপারে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডাঃ সুরাইয়া আক্তার বলেন, শিশুগুলোর স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে। তবে একসাথে ৩টি শিশু গর্ভে থাকায় নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রসব হওয়ায় তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষনে রাখা প্রয়োজন। সেজন্য তাদের স্পেশালাইজড হসপিটালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ধরনের শিশুগুলোর জন্য স্পেশাল সাপোর্ট দরকার। সেগুলোই দিচ্ছি।