শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন একজন তারুণ্যের রোল মডেল উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়া জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র। শেখ কামাল একাধারে যেমন দেশের সেরা ক্রীড়া সংগঠক এবং ক্রীড়াবিদ ছিলেন, তেমনি ছাত্র হিসেবেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি মনেপ্রাণে দেশীয় সংস্কৃতি লালন এবং চর্চা করতেন। খেলাধুলা, সঙ্গীত, অভিনয়, বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য।
তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে শেখ কামালের অবদান চিরস্মরণীয়। যুব সমাজকে রক্ষা করতে শেখ কামাল ক্রীড়াঙ্গনকে নতুন ভাবে সাজিয়েছিলেন। শেখ কামালের জীবন ও আদর্শ সবসময় আমাদের কাছে, বিশেষকরে যুব সমাজের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে ১৫ আগষ্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে হত্যা করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমানেই বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকারী।
শনিবার বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর ৭৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন চত্বরে বঙ্গবন্ধু ও শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন শেষে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের উপ-সচিব মোরারজি দেশাই, দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাবিক) দেবাশীষ চৌধুরী, দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডাঃ বোরহান উল ইসলাম সিদ্দিকী, দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. শামীম আলম সরকার বাবু, দিনাজপুর জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সুলতানা বুলবুল প্রমুখ।
এ ছাড়া অনুষ্ঠান শেষে যুব উন্নয়নের চেক ও গাছের চারা বিতরন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।