বুধবার , ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পেঁয়াজের সংকট কমাতে চিরিরবন্দরে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩ ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: লাল বা গাঢ় খয়েরি লাল রঙের বড় আকারের পেঁয়াজ মিশর, চীন কিংবা ভারত থেকে আমদানি করা নয়। এসব বড় আকারের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ এখন দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় উৎপাদন হচ্ছে। দিনদিন উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রীষ্মকালীন অর্থাৎ খরিপ মৌসুমে পেঁয়াজ চাষের কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়ে এবার কৃষকদের সাফল্য এসেছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় উৎপাদিত গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আকার, স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিমান অনেক উন্নত। কৃষিপ্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এবছর ১৫০ জন কৃষককে ১ কেজি করে নাসিক এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজসহ ডেপ, পটাশ সার, পলিথিন ও অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে। এই পেঁয়াজ চাষে অনেক কৃষকের ভাগ্যের চাকা ঘুরছে। পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে চলেছেন উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ নশরতপুর গ্রামের জগদিশ মেম্বারপাড়ার কৃষক গণেশ চন্দ্র রায়। তিনি কৃষিপ্রণোদনা কর্মসূচির নতুন উদ্ভাবিত নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষ করে হয়েছেন সফল। তিনি মাত্র ১৭ শতক জমিতে নাসিক এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করেছেন। তার ক্ষেতে উৎপাদিত প্রতিটি পেঁয়াজের ওজন কমপক্ষে ২০০-২৫০ গ্রাম। তার জমিতে উৎপাদিত পেঁয়াজ দেখে অন্যান্য চাষিরাও এ জাতের পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
নশরতপুর ইউনিয়নের দায়ত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. খাদেমুল ইসলাম বলেন-অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে বাজারে যখন শীতকালীন পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকে, সেসময় নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ মানুষের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জুলাই-আগস্ট মাসে বীজ বপণ করে ২৫-৩০ দিন বয়সের চারা রোপণ করতে হয়। ৯০ দিনের মধ্যেই এ পেঁয়াজ সংগ্রহ করা সম্ভব। প্রথম পর্যায়ে রোপনকৃত পেঁয়াজ ইতিমধ্যেই বাজারে আসতে শুরু করেছে। গাছসহ এ পেঁয়াজ বিক্রি করে চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা বলেন, সম্প্রতি আমি নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষে উৎপাদন সফলতা দেখেছি। এতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কৃষক খুশি। এ পেঁয়াজ এখনো পুরোপুরি পরিপক্ক হয়নি। পরিপক্ক হতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে। অপরিপক্ক এসব পেঁয়াজের প্রতিটির গড় ওজন অন্তত ২০০ গ্রাম। তবে পরিপক্ক হলে প্রতিটির ওজন ২৫০ গ্রাম ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমান পেঁয়াজের বাজারদর ভালে হওয়ায় আমরা কৃষকদের বিক্রির পরামর্শ দিচ্ছি। পেঁয়াজের সংকট কমাতে সম্ভাবনাময় নাসিক এন-৫৩ জাত চাষে কৃষি বিভাগ সবধরণের সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করছে। এ পেঁয়াজ চাষে কৃষকরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি আমদানি নির্ভরতা কমবে এবং মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

পীরগঞ্জে বাজেট নীরিক্ষা কার্যক্রম পরবর্তী মতবিনিময় সভা

পীরগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুরের সময় এক ব্যাক্তি আটক

বীরগঞ্জে রপ্তানীযোগ্য আম উৎপাদনে দিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ

হরিপুরে বিলুপ্তপ্রায় নীলগাই উদ্ধার ।চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

কাহারোলে শিক্ষার্থী মাহি হত্যা খু-নির ফাঁ-সির দাবিতে মানব-বন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আমরা কখনও রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে বিরল স্থলবন্দর পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করার পদক্ষেপ নিব —-বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী মোজাহারুল ইসলাম

বীরগঞ্জে মোহনপুরে পিবিবি’র ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁওয়ে জাল জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদানের দায়ে উদ্যোক্তা সহ ২ জনের কারাদন্ডাদেশ

কোটা সংস্কার দাবিতে হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ

রাণীশংকৈলে’র বিএনপি নেতা ও সাবেক পৌর-প্রশাসক মঞ্জুরুল আলমের জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন