হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর আয়োজনে বিজনেস এগ্রিকালচার অনুষদের শিক্ষকবৃন্দের (রেজিস্ট্রেশনকৃত) জন্য “পাইথন অ্যাপ্লিকেশনস (মডিউল-২) ফর দ্যা টিচার্স অব এইসএসটিইউ” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা আজ থেকে শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টায় আইকিউএসি কনফারেন্স রুমে তিন দিনব্যাপী উক্ত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান, সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. বিকাশ চন্দ্র সরকার। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ মইনুর রহমান, সঞ্চালনা করেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ তহিদার রহমান। টেকনিক্যাল সেশনে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন ।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান উপস্থিত সকলকে পবিত্র রমজান মাস ও স্বাধীনতার মাসের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুদীর্ঘ ২৪ বছর লড়াই, সংগ্রাম, জেল, জুলুম, ও নির্যাতন সহ্য করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ৪৬৮২ দিন তিনি জেলখানায় কাটিয়েছেন, পরিবারকে বঞ্চিত করেছেন। লক্ষ্য একটি ছিল, সেটি হলো পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা এবং অনেক ত্যাগের বিনিময়ে সে লক্ষ্য তিনি অর্জন করেছেন। স্বাধীনতার পর তিনি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন তারই রক্ত ও আদর্শের যোগ্য উত্তরস‚রি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি লক্ষ্য সামনে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, সেটি হলো ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া। এই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি ও দক্ষ মানবসম্পদ। এক্ষেত্রে বিশেষ করে গবেষণার উপর তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন, কারণ গবেষণার মাধ্যমেই নতুন নতুন প্রযুক্তি ও ধারণা উদ্ভাবন করা সম্ভব। পাশাপাশি গবেষণা ক্ষেত্রেও নতুন ধারণা ও প্রযুক্তির ছোয়া লেগেছে। গবেষণার পরিধি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে, নতুন নতুন মেথড তৈরি হচ্ছে। এর সাথে আমাদেরকেও মানিয়ে নিতে হবে। এ ধরণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা আমাদের জ্ঞান ভান্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করবে। তিনি বলেন, আজকের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান একাডেমিক কাজে ব্যবহার ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। পাইথনের পর আমরা বøক চেইন এর উপর প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনের চেষ্টা করবো।