বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে অটোচার্জা ও রিক্সার কারণে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগে পরতে হচ্ছে পৌরবাসীকে। সড়কের ধারণ ক্ষমতার চাইতে অধিক ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ভ্যান চলাচল করছে পৌর শহরের ব্যাস্ত সড়কে। এতে জীবনযাত্রা ব্যহত হচ্ছে সাধারণ মানুষের। বিশেষ করে রমজান মাসে যানজট তীব্র থেকে তীব্র আকার ধারণ করছে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কেনাকাটার বাজার গুলোর সড়কের পাশেই। মহাসড়কে গাড়ী পার্কিং এবং বেপরোয়া চলাচল ও চালকের অদক্ষতার কারণে প্রায়ই ছোট-বড় ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা।
এসময় পৌর শহরের ব্যস্ততম এলাকা তিন রাস্তা মোড়, চৌ-রাস্তা ও তাজ মহল সিনেমা হল রোডে অটো রিক্সার দীর্ঘ জ্যাম। বের হওয়ার কোন রাস্তা নেই। উপজেলা রোড হতে, তিন রাস্তা মোড় ও বিজয় চত্বরে সকাল বিকাল যেন থমকে যায় ঘড়ির কাটা। শুধু কানে আসে বিভিন্ন গাড়ীর হর্ণ। এই অটো চালকদের নেই কোন প্রশিক্ষণ, ডান বাম না বুঝেই ঘুরিয়ে দিচ্ছে তিন চাকার অটো রিক্সাগুলোকে। প্রাণচঞ্চল বীরগঞ্জ পৌর শহরের ব্যবসায়ী ও পথচারীরা জানান, ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা যদি এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তবে ভবিষ্যতে শহর চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়বে। তারা আরো জানান, পরিত্যক্ত ডাক্তার খানা মাঠের সামনে (রাস্তার উপর) হঠাৎ গজিয়ে উঠা দোকান গুলোর কারনে যানজোট আরো তীব্র হচ্ছে।
এতে পথচারীরা নানা সামস্যার সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। মানুষ ঠিকমতো চলাচল করতে পারছে না। তিন রাস্তা হতে জুতা পট্রি, হোটেল-মটেল ও ফল হাটির ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানের মালামাল সাজিয়ে রেখেছে সড়কের উপর। এ যেন মরার উপর খরার ঘা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
এক ব্যবসায়ী বলেন, স্থানীয় তিন রাস্তা মোড়ের তাজ মহল এলাকায় দিনে ২-৩ বার দীর্ঘ যানজোটের সৃষ্টি হয়। কেননা, মুল সড়কের উপর দাঁড়িয়ে অটোচার্জারে যাত্রী উঠা নামা করছে। দেখছে সবাই , কিছু বলার কেউ নেই। বীরগঞ্জ পৌরবাসীর দাবী রমজান ও ঈদুল ফিতর সামনে রেখে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলোতে অটো রিক্সা ও দোকানের মালামাল উঠানামার বিষয়ে পৌর পিতাসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষ সুদৃষ্টি দেন। পরিবারের ছোটবড় সবাই মিলে ঈদের কেনাকাটা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে করতে পারে। ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সার কারণে ঈদ উৎসব যেন কারো সারা জীবনের কান্না হয়ে না দাঁড়ায়, সে দিকে নজর দিতে হবে।
অটোরিকশা যত্রতত্র ফেলে রাখার বিষয়ে অটোচালক লিটন জানান,অটোরিকশা রাখার নিদিষ্ট জায়গায় না হওয়া পর্যন্ত যানজট নিরসনে সম্ভব না।