পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা উইনিয়নের নওডাঙ্গা রেডিয়েন্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারির বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীর মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করায় দুই ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানাযায়, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার নওডাঙ্গা রেডিয়েন্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি মোস্তাফিজুর রহমান বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনী থেকে নবম শ্রেনীতে পড়–য়া সেজোতি রানী ও প্রণতি রাণীর নাম উপবৃত্তির তালিকায় থাকলেও মোবাইল নাম্বার রয়েছে স্কুলের অফিস সহকারি মোস্তাফিজুর রহমানের। তিনি তার বিদ্যালয়ে অধ্যায়ন রত শিক্ষার্থীদের মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করে তার নিজ নামে বেনামে মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে ছাত্র-ছাত্রীর উপবৃত্তির হাজার হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করছেন। এ বিষয়টি জানতে পেরে ওই দুই ছাত্রীর অভিভাবকগণ ৫মে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে পরদিন বিকালে ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রমেস চন্দ রায় ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আকিম উদ্দিন সহ কমিটির সদস্যগণ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসে হাজির হন এবং সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে মৌখিক ভাবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাকে অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় অভিযোগকারী নিখিল রাজবংশী ও শ্রীকান্ত রায় যুগান্তরের অভিযোগ করে বলেন, উপবৃত্তির তালিকায় নাম থাকা সত্যেও এ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রিরা অনেকেই উপবৃত্তির টাকা পাচ্ছেন না। অফিস সহকারি মোস্তাফিজুর রহমান সহ বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা ছাত্র-ছাত্রীর মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করছেন। যেন দেখার কেউ নেই। সুষ্ঠ ও নিরপক্ষ ভাবে তদন্ত করালে এ উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ কারিরা ধরা পড়বে। আমরা সরকারের কাছে বিচার ও সুষ্ঠ তদন্তের দাবী জানাচ্ছি। ইতিপূর্বেও অফিস সহকারি মোস্তাফিজুর রহমান অনেক ছাত্র-ছাত্রীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের বিষয়টি স্থানীয় ভাবে বিচার শালিসের মাধ্যমে মিমাংসা করেন।
এ ঘটনায় অফিস সহকারী মোস্তাফিজুর রহমান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, বিষয়টি বর্তমান প্রধান শিক্ষক জানেন। আর ওই দুই ছাত্রী ৯ম শ্রেনীতে পড়লেও এটি ৮ম শ্রেনীর উপবৃত্তির টাকা। এ টাকাটি আমি সরকারি কোষাগারে জমাদিতে চাই।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র রায় ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আকিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আরিফুল্লাহ জানান, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষ ওম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সহ অনেকেই এসেছিলেন আমি তাদের দ্রæত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি। ইউ এন ও স্যারের কাছে দেয়া অভিযোগটি আমাকে মার্ক করে দিয়েছেন। আমি তদন্ত করে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রমিজ আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।