হাবিপ্রবি প্রতিনিধি\ দিনাজপুরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১০দিন যাবৎ লাগাতার কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন অব্যাহত রেখেছেন।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত ড.মুহাম্মদ কুদরাত-এ-খুদা একাডেমিক ভবনের নিচে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহŸানে ঘন্টাব্যাপি অবস্থান কর্মসূচি পালন করে হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি। এবং বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশন এর ব্যানারে ড. এম ওয়াজেদ ভবনের নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।ড.মুহাম্মাদ কুদরাত-এ-খুদা একাডেমিক ভবনের পাশে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে হাবিপ্রবির কর্মচারীরা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রতিশ্রæত সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন হাবিপ্রবির শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফলে সকল ক্লাস,পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থগিত হয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।
কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচিতে হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.মোঃ মোস্তাফিজার রহমান,সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাদেকুর রহমান, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফাহিমা খানম, হাবিপ্রবি প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচিতে বক্তৃতাকালে হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাদেকুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলন হওয়া সত্বেও কোনো সঠিক সমাধান হয়নি। এরই প্রেক্ষিতে আমাদের জাতীয় অধ্যাপকেরা এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ গোলটেবিল বৈঠকে বসবেন। সেই বৈঠকে তারা যে সিদ্ধান্ত দিবেন এবং যে কর্মসূচি দিবেন আমরা সেই অনুযায়ী আগাবো।
এদিকে, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচিতে কোন বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। বন্ধ ছিল দাপ্তরিক কার্যক্রমও। তবে খোলা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার। এবং স্বাভাবিক ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল।