রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় সাগরিকার ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামে অবস্থিত নিজ বাড়িতে চুরি হয়েছে। চোর তার ঘরের তালা ভেঙে জমানো ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে নাগরিকার পিতা।
গত ১৪ আগস্ট রাতে চুরি সংগঠিত হলেও বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে। ঘটনার সময় সাগরিকা ঢাকায় ছিলেন এবং তার বাবা-মা পাশের একটি মাটির ঘরে অবস্থান করছিলেন। সাগরিকার অনুপস্থিতিতে সরকারি অর্থায়নে নির্মিত পাকাঘরটিতে তালা দিয়ে রাখা হয়।
সাগরিকার বাবা মো. লিটন জানান, সাগরিকার জমানো ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা বাড়ির পাশে এক প্রতিবেশী ধার নিয়েছিলেন। বেশ কয়েকদিন পর ঘটনার দিনই অর্থ ফেরত দেন ওই প্রতিবেশী।
সেই রাতেই ঘরের তালা ভেঙে টাকাগুলো চুরি হয়। এতদিন টাকা বাড়িতে ছিল না, চোরও আসেনি। টাকা ফেরত দেওয়ার রাতেই চুরি হলো। বিষয়টি সন্দেহজনক ও রহস্যজনক মনে হচ্ছে।
সাগরিকার মা আনজু আরা বেগম বলেন, রাণীশংকৈল থানায় অভিযোগ দিয়েছি। তারা এসে বাড়ির অবস্থা দেখে গেছে। ‘পুলিশ থানায় যেতে বলেছিল। পরে আমরা থানায় বেশ কয়েকবার গিয়েছি, কিন্তু কোনো আশানুরূপ সাড়া পাইনি।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোন সাড়া না পাওয়ায় আর কারও কাছে যাই নাই। এতদিন কাউকে বিষয়টি জানাইনি। আমার মেয়ের পরিশ্রমের টাকা এভাবে চুরি হবে ভাবতেও পারিনি।
চুরি হওয়া বিষয়টি নিয়ে জাতীয় দলের অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবলার সাগরিকা জানান , ঘরের তালা ভেঙে আমার পরিশ্রমের টাকা নিয়ে গেছে। এটা আমার জন্য লজ্জার। তাই এতদিন মিডিয়াতে প্রকাশ করিনি এবং করতেও চাইনি। তবে জেলা প্রশাসককে জানিয়েছিলাম ।জেলা প্রশাসকের কথা মত থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, সাগরিকা বাড়িতে এলে সরকারি অর্থায়নে নির্মিত পাকা ঘরে থাকেন। তার পাশে মাটির আরেকটি ঘর আছে তাদের। সাগরিকা বাড়িতে না থাকলে মাটির ঘরে থাকেন সাগরিকার বাবা-মা। ঘটনার দিন সাগরিকা ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। এ কারণে পাকা ঘরে তালা দিয়ে মাটির ঘরে ছিলেন সাগরিকার বাবা-মা। ১৪ আগস্ট রাতে পাকা ঘরের তালা ভেঙে সাগরিকার জমানো ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা চুরি হয়ে যায়।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরশেদুল হক বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত চলমান রয়েছে, এবিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’