মানুষের অতীত স্মৃতি অনেক সু-মধুর উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ সামন্ত লাল সেন বলেছেন, দীর্ঘ ৬০বছর পর শৈশবের নিজ বিদ্যালয় দিনাজপুর সেন্ট ফিলিপস্ হাই স্কুলে এসে খুবই ভালো লাগছে, আমি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছি। এই স্কুল থেকে আমি ১৯৬৪ সালে মাধ্যমিক পাশ করেছি। তখন যেই ভবনটিতে লেখাপড়া করেছি আজ সেটি নেই, অনেক পরিবর্তন ও সুন্দর হয়েছে। হাই স্কুল আজ সেন্ট ফিলিপস্ হাই স্কুল এন্ড কলেজে রূপান্তরিত হয়েছে। পিতার চাকরির সুবাদে এই স্কুলের পার্শ্ববর্তী এলাকা অবদা কোলনীর কোয়াটারে ছিলো আমাদের নিবাস। আশা ছিলো হয়তো সেই পুরনো বন্ধুদের দেখা পাবো। কোনো বান্ধবি ছিলো না, সে সময় শুধুমাত্র ছেলেরাই এই স্কুলে লেখাপড়া করতো। এখন ছেলে-মেয়ে উভয়ের লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার শৈশবের নিজ বিদ্যালয়ে শুভাগমন উপলক্ষে দিনাজপুর সেন্ট ফিলিপস্ হাই স্কুল এন্ড কলেজের আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ সামন্ত লাল সেন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি চাই, আমার এই স্কুলের শিক্ষার্থীরা হৃদয়বান ও সহনশীল একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। দেশের সেবায় এগিয়ে যাবে। আজকের এই শিক্ষার্থীরাই আগামীতে দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী হয়ে দেশকে নেতৃত্ব দিবে।
রবিবার বিকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্কুলে পৌছলে এক অন্যরকম আবেগঘন মূহুর্তের সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষনা দিয়েছেন। বর্তমান শিক্ষার্থীরা স্মার্ট আর শিক্ষার্থীরাই স্মার্ট শিক্ষার্থীরাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সালের স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে সক্ষমতা ও দক্ষতা লাভের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। আজকের শিক্ষার্থীরাই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। এখন আমাদের স্বপ্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
দিনাজপুর সেন্ট ফিলিপস্ হাই স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ ব্রাদার কাজল লিনুস কস্তা সিএসসি’র সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, দিনাজপুর ক্যাথলিক ডায়োসিস এর বিশপ ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ড. সেবাষ্টিয়ান টুডু ডি ডি। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পুত্র ডাঃ অনাবিল সেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডাঃ এবিএম খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ডা. এবিএম আবু হানিফ, সিভিল সার্জন ডাঃ এএইচএম বোরহান-উল-ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূর-এ-আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোমিনুল করিম।
এরপর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডাঃ সামন্ত লাল সেন দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এ্যালায়েড সায়েন্সেস দিনাজপুর, ডায়াবেটিস হাসপাতাল, দিনাজপুর সরকারী মহিলা কলেজ (প্রাক্তন সুরেন্দ্রনাথ কলেজ), ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এর আগে দিনাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও রামকৃষ্ণ মিশন পরিদর্শন করেন।