পঞ্চগড় প্রতিনিধি\ পঞ্চগড়ে মজনু (২৬) নামের এক সন্ত্রাসীকে আটক করে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে জনতা। গতকাল সোমবার দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক মজনু পঞ্চগড় সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বলেয়াপাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ৫ আগষ্ট সদর ইউনিয়নের বলেয়াপাড়া গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে বাবুল হোসেন (৪৫) বাড়ির পাশের ধান খেত নষ্ট করার সময় ছাগল ধরতে গেলে পূর্ব শত্রæতার জেরে মজনু দা দিয়ে তার হাতে কোপ মারে। এ সময় একই গ্রামের ফজল মিস্ত্রীর ছেলে বাবুল ড্রাইভার মজনুকে আটকিয়ে দা ছিনিয়ে নেয়ার পর সন্ত্রাসী মজনু অপর হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে বাবুলের পেটে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আশংকাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা বাবুলকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসহাপালে রেফার্ড করা হয়। থানার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তার বিরুদ্ধে এতদিন কোন মামলা হয়নি। গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে মজনুকে সদর উপজেলা পরিষদের আশপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখে লোকজন তাকে আটকে রেখে সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় সদর থানায় নিয়ে যায়।
আহত বাবুল হোসেনের পিতা হাবিবর রহমান জানান, মজনু এর আগেও আমার ছেলেকে ছেলেকে মেরে ফেলার জন্য চেষ্টা করেছিল। ঘটনার দিন তাকে একা পেয়ে দা ও ছুরি দিয়ে আঘাত করে। বর্তমানে আমার ছেলে রংপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার রায় জানান, সোমবার মজনু নামের এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা থানায় জমা দিয়েছে। আহত ব্যক্তি বর্তমানে রংপুরে চিকিৎসাধীন। তারা এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে থনায় মামলা করা হবে।