সোমবার , ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৮শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাগর কলা খ্যাত ‘দশমাইল কলার হাট’ জমজমাট

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪ ৮:১৫ পূর্বাহ্ণ

স্বল্প খরচ ও পরিশ্রমেই ঝামেলাবিহীন কলা চাষ করে অধিক লাভবান কৃষক। লাভজনক হওয়ায় দিনাজপুরের কৃষক ঝুঁকছে কলা চাষে। ঝুঁকি ও রোগবালাইও কম। কলা চাষে আরেক সুবিধা, কলাক্ষেতে ছয় মাস পর্যন্ত সাথী ফসল হিসেবে নানা জাতের সবজি চাষ করা যায়। যা বিক্রি করে চাষিরা সহজেই কলা ক্ষেতে পরিচর্যা করতে পারেন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হতেও পারেন।দিনাজপুর সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার অনেক কৃষক কলার চাষ করে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটানোর চেষ্টা করছেন। বছরের সবসময়ই কমবেশী কলা চাষ হয় এখানে। তবে বেশিরভাগ কলা চাষ হয় কাহারোল উপজেলায়।
দিনাজপুরের উৎপাদিত সাগর কলার খ্যাতি দেশজুড়ে।শুধু সাগর কলা নয়, সবরি, সুন্দরী (মালভোগ), চিনি চম্পা কলারও চাষ হয় এ এলাকায়। আর কাহারোলের দশমাইল এলাকায় বসে উত্তরাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম বড় কলার হাট।
দশমাইল মোড় ছাড়াও তের মাইল গড়েয়া এবং রানীরবন্দর বাজার থেকে কখনও প্রতিদিন ২০-৩০ ট্্রাক কলা চলে যায় ঢাকা, চট্্রগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ-সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
শ্রাবণের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করে আশ্বিনের শেষ পর্যন্ত ফল তোলার সময়। ভোর পাঁচটা থেকে ভ্যানে করে এই হাটে বিক্রির জন্য কলা আনতে শুরু করেন চাষি ও স্থানীয় কলা ব্যবসায়ীরা। এই হাটে স্থানীয় কলা ব্যবসায়ী আছেন দেড় শতাধিক। হাটের বাইরে থেকে আসা ব্যাপারীদের সঙ্গে চলে দর-কষাকষি। কেনাবেচা শেষে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে কলা তোলা হয়। সকাল ১০টার মধ্যে শেষ হয় হাটের কারবার।
সকালে মাঠজুড়ে সারি সারি সাজানো কলার কাঁদি। হাটে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় চাষি-ব্যবসায়ী ও পাইকারদের। স্থানীয়ভাবে কলার কাঁদিকে কেউ বলে কাইন, ঘাউর, ঘের, পীর। প্রতিটি কলার কাঁদি বিক্রি হয় ৪০০-৪৫০টাকা দরে।
ব্যবসায়ীরা জানান, গতবার প্রতিটি কলার কাঁদি কিনেছেন ৩০০-৩৫০ টাকা দরে। সে হিসাবে এবার কাঁদিপ্রতি দম ১০০ টাকা বেড়েছে।
সব উপজেলাতেই কলা চষ হলেও কাহারোল উপজেলায় এবার ৩৩০ হেক্টর জমিতে সাগর কলাসহ স্থানীয় জাতের কলা চাষ হয়েছে।
কাহারোলের কলাচাষি নুরুল আমিন বলেন, কলা চাষে কোনো ঝুঁকি নেই। গতবার ২০০ গাছ দিয়ে বাগান শুরু করি। এবার সেখানে ৫০০গাছের বাগান করেছি। বাগানে খরচ হয়েছে ৩৫হাজার টাকা। প্রায় ২লাখ টাকার কলা বিক্রির আশা করছি। এছাড়াও কলার বাগানে যে খরচ হয়েছে, বাগানের ভেতরে বিভিন্ন শাকসবজির আবাদ থেকেই সেটা উঠে এসেছে।
কাহারোল উপজেলার নয়বাদ গ্রামের কৃষক রঞ্জিত রায় বলেন, কলা বিক্রি করতে হাঁটে আসতে হয় না।পাইকাররা আগেই টাকা দিয়ে দেন। হাঁটে আনলে খাজনা, পরিবহন খরচসহ পড়তা করা যায় না। তাই ব্যবসায়ীদেরই দিয়ে দিই, বিক্রির ঝামেলা থাকে না। তিনি জানালেন এবার, ৪০০কাঁদি কলা বিক্রি করেছেন তিনি।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

ওস্তাদ সুনীল মজুমদারের শিষ্যদের পরিবেশনায় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত উৎসব

নানা কর্মসুচীতে দিনাজপুরে সাবেক মন্ত্রী খুরশীদ জাহান হকের মৃত্যুবার্ষিকী পালন

৭ মাস ধরে বন্ধ সিএইচসিপিদের বেতন, আর্থিক সংকটে পরিবার নিয়ে বিপাকে

করোনার সব ভ্যাকসিনে গ্যারান্টি দেওয়া সম্ভব নয়: ডব্লিউএইচও

পীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত

চলতি বছরেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন করার চিন্তা: শিক্ষামন্ত্রী

পীরগঞ্জে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় এমপির ভাইসহ ১৩ প্রার্থীর  মনোনয়ন  দাখিল

নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় এমপির ভাইসহ ১৩ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল

ঠাকুরগাঁওয়ে কলা খাইয়ে অজ্ঞান করে অটোরিকশা ছিনতাই

ঠাকুরগাঁওয়ে ২শত কেজি পলিথিন জব্দ, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা