বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ‘পিপিআর রোগ নির্মূল এবং ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় পিপিআর রোগ নির্মূলে চতুর্থ ডোজ গণটিকা কার্যক্রম টিকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১অক্টোবর) সকালে উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের জগদল উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ পিপিআর টিকার শুভ উদ্বোধন করেন সুজালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ ওসমান গনি বক্তব্যে বলেন, আজ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা প্রত্যেকটিতে একটি করে টিকা প্রদানকারি টিম বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে ছাগল ভেড়ার পিপিআর রোগের টিকা প্রদান করবেন। পিপিআর একটি মারাত্মক রোগ এবং এই রোগে প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রচুর ছাগল ভেড়া মারা যায়। প্রান্তিক পর্যায়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং মৃত্যুর হার কমানো গেলে দেশে মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পাশাপাশি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে বিদেশে রপ্তানীকরণ ক্ষমতা অর্জন করবে।
তিনি আরও বলেন, ছাগল উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ চতুর্থ স্থানে রয়েছে। আগামী ২০৩০ থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে ছাগল উৎপাদনে প্রথম স্থানে যাবে ইনশাআল্লাহ।
এ সময় তিনি উপজেলার প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ের চিকিৎসকদের মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশনা দেন।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ ওসমান গনি’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফজল ইবনে কাউসার আলী, প্রমুখ। আজ বীরগঞ্জ উপজেলায় ২ হাজার কৃষকের মোট ৮,৯১০ টি ছাগল-ভেড়ারকে পিপিআর টিকা প্রদান করা হয়।
প্রাণীসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী ছাগল ও ভেড়ার পিপিআর রোগ নির্মূলের লক্ষ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১লাখ ৭০ হাজার।
বীরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের গ্রামে ১ লাখ ৭০ হাজার ছাগল ও সাতশ ভেড়াকে টিকা প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য আজ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিটি ওয়ার্ডে ২ দিন করে প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।