খানসামা প্রতিনিধি \
আত্রাই নদীর মাঝে ‘মাঝিয়ালির চর’। চারপাশে নদীর ঢেউ আর সবুজ প্রকৃতির মাঝে মাত্র ১৩টি পরিবার প্রায় ২০একরের এ চরে বসবাস করে। কিন্তু বর্ষায় রদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় এবং নিজেদের কোন নৌকা না থাকায় বন্দী চরবাসী।
এখন এ অবস্থা দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ি ইউপির বাসুলী এলাকায় আত্রাই নদীর বুকজুড়ে ভেসে থাকা ছোট্ট এক ‘মাঝিয়ালির চরে’।
জানা যায়, শীত-গ্রীষ্মে এখানকার জীবন চলে চাষাবাদ, গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগি পালনের মাধ্যমে। কিন্তু বর্ষা এলে পুরো দৃশ্যপট বদলে যায়। টানা বৃষ্টিতে নদীর পানি বেড়ে চরটি জলবেষ্টিত হয়ে পড়ে। তখন অসুস্থ রোগী বা জরুরি কাজে পারাপার হতে হয় কষ্ট করে, কারণ নিজেদের কোনো নৌকা নেই। ভাড়া করে নৌকা ব্যবহার করলেও তা অনিয়মিত এবং সময়সাপেক্ষ।
স্থানীয় বৃদ্ধ আব্দুল লতিফ বলেন, ৭১সালে যুদ্ধের পর থেকেই এখানে বসবাস করছেন। বর্ষায় নদীর পানি বাড়লে আমরা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাই। অসুস্থ হলে বা জরুরি কাজে বাইরে যেতে অন্যের নৌকা ভাড়া করতে হয়। অনেক সময় নৌকা পাওয়া যায় না, ভোগান্তিতে থাকি।
শুক্রবার মাঝিয়ালির চরের বাসিন্দা সোহেল ইসলাম বলেন, বর্ষায় বাজার করা থেকে স্কুলে যাওয়া সবকিছুই ভোগান্তিকর হয়ে যায়। বিশেষ করে কেউ অসুস্থ হলে চিন্তা বেড়ে যায়। আমাদের নিজের একটি নৌকা থাকলে হয়তো এই কষ্ট অনেকটাই কমে যেত।
এ ব্যাপারে আলোকঝাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান জানান, এর আগে তাদের যাতায়াতের জন্য নৌকা দেওয়া হয়েছিল সেটি ব্যবহার অনুপযোগী।তবে এবার ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে পুনরায় নৌকা তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে। আশা করি শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।
খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান সরকার বলেন, মাঝিয়ালির চরের যাতায়াত সমস্যা সম্পর্কে জানার পরে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। জরুরি পরিস্থিতিতে যেন তারা নৌকায় যাতায়াত করতে পারে, সে বিষয়ে দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।