কলেজ শিক্ষার্থী হত্যাকান্ডের আসামী গ্রেফতার ও ন্যায় বিচারের দাবীতে দিনাজপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হতভাগ্য পিতা নির্মল চন্দ্র দাস।
রোববার দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তন কক্ষে আয়োজিত জনার্কীণ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দিনাজপুর সদর উপজেলার উমরপাইল গ্রামের শ্রী নির্মল চন্দ্র দাস।
এসময় শ্রী নির্মল চন্দ্র দাস দাবি করে বলেন, গত ৮ডিসেম্বর’২৩ তার কলেজ পড়–য়া সন্তান শ্রাবণ চন্দ্র দাস নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও তাকে খুঁজে না পেয়ে দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় নিখোঁজ হওয়ার বিবরণ তুলে ধরে ৯ডিসেম্বর’২৩ একটি জিডি করি। কিন্তুদায়িত্ব অবহেলার কারণে নিখোঁজ হওয়ার একবছর পার হলেও পুলিশ এখনো নিখোঁজ সন্তান শ্রাবণের কোনো হদিস বের করতে পারেননি। তবে গত ১৮ডিসেম্বর’২৩ বাড়ির পাশে আত্রাই নদীর চরে একটি মাথার খুলি উদ্ধার করে পুলিশ। ওই অজ্ঞাতনামা মানুষের মাথার খুলির বিষয়ে পুলিশ বাদী হয়ে জিডি ও একটি মামলা করে। দীর্ঘসময় পর গত ৬ফেব্রæয়ারী’২৪ পুলিশ ওই অজ্ঞাতনামা মাথার খুলি নিখোঁজ শ্রাবণ চন্দ্র দাসের কিনা জানতে আমার সাথে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য এস আই তৌহিদুল কোর্টে আবেদন করেন এবং ২৭জুন’২৪ ডিএনএ সেম্পল আমার সাথে মিলে গেলে পুলিশ জানায়, নদীর চরে উদ্ধারকৃত মাথার খুলিটি ছেলে শ্রাবণ দাশের। এরপর পুলিশ সিডিআর রেকর্ড এর ভিক্তিতে শ্রাবণের দুই বন্ধু মাদকাসক্ত রনি ও শিমুলকে গ্রেফতার করে। পুলিশ তাদের ২ দিনের রিমান্ডে নিলে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে নিবারণ নামে আরো একজনকে আটক করে পুলিশ। তদন্তে অজ্ঞাত কারণে পুলিশ হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে আটকদের নিকট হতে কোনো ক্লু-ই বের করতে পারেনি। মামলা তদন্তে ৩জন এসআই পরিবর্তন হলেও মামলাটির কোনো সুরাহা হয়নি। তারা আমাকে উদ্ধার হওয়া খুলি দিয়ে সৎকার করেেত বলেছিল কিন্তু আমি তা করেনি। বলেছিলাম গোটা দেহটা উদ্ধার করে দিন কিন্তু তারা তাও পারেনি। একজন অসহায় পিতা হিসেবে সন্তানের নিখোঁজ হওয়ার জিডি করেছিলাম,কিন্তু পুলিশ সেই জিডিকে মামলা হিসেবে না নিয়ে নিজেরাই কেনো আমার সন্তানের (উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত মানুষের মাথার) খুলির বাদি হলো তা আমি জানি না।
সন্তানের নিখোঁজ হওয়া ও হত্যাকান্ডের শিকার হওয়ার ব্যাপারে ইতিপূর্বেও সংবাদ সম্মেলন করে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবী করেছি কিন্তু আজো তা পাইনি। তবে আমার কাছে পরিস্কার সন্তান হত্যার সাথে জড়িতরা এলাকাতেই আছে, পুলিশ তৎপর হলেই তাদের আটক করা সম্ভব। প্রশাসনের কাছে আমার সন্তান শ্রাবন দাসের হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দাবী করছি।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ চন্দ্র দাস, সুমন চন্দ্র দাস, অর্জুন দাস, সৌরভ দাস ও বিশ্বজিত দাস।