মাঘের শুরুতেই হিমেল হাওয়ায় দিনাজপুরে ঘন কুয়াশার সাথে কনকণে ঠান্ডা। গত কয়েকদিন ধরে হিমেল হাওয়ার প্রভাব থাকলেও রোদের ঝলমলের কারণে শীত কম অনুভুত হয়। তবে বিকালের পর থেকে জেঁকে বসে শীতের তীব্রতা। হিমেল হাওয়ায় বুধবার সকালে সুর্যের দেখা না মিললেও দুপুরের পর উকিঁ দেয় সুর্যের ঝলমলে আলো। কিন্তু এরপরেও কনকণে শীত অনুভ‚ত হয়।
দিনাজপুরে শীতের প্রতিনিয়ত ছন্দপতন ঘটছে। তাপমাত্রা উঠানামার মধ্যে রয়েছে।তবে বুধবার মাঘের প্রথম দিনে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে দিনাজপুর। এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে হিমেল বাতাস আর ঘনকুয়াশায় কষ্ট বেড়েছে ছিন্নমূল মানুষের।
এর আগে ১০জানুয়ারি দিনাজপুরে মৌসুমের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। পরদিন ১১জানুয়ারি তাপমাত্রা বেড়ে হয় ১১ডিগ্রি সেলসিয়াস।আবার ১৩ জানুয়ারি তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়। আবার ১৪ জানুয়ারী তাপমাত্রা নিচে নেমে ১১ দশমিক৮ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
মোটরবাইক চালক সবুর হোসেন চৌধুরী বলেন, সকাল থেকেই বাতাস বইছে। রাস্তাঘাটে লোকজন কম, মানুষ বাড়ি থেকে কম বের হচ্ছে। মোরসাইকেল চালাতে বেশী ঠান্ডা লাগছে।
কৃষক আলী আকবর জানায়, মাঘ মাস পড়েছে। কথায় আছে এ মাসে ঠান্ডায় বাঘও কান্দে। কুয়াশাও দেখা গেছে সকালে। বোরো ধানের বীজতলার চারা অনেকটা বড় হয়েছে। এখন জমি তৈরি করতে ঠান্ডার কারণে কৃষি শ্রমিক পাচ্ছিনা।
কাজের সন্ধানে আসা আবুল হোসেন জানান, বুধবার হঠাৎ করেই কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাস শুরু হয়েছে। বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে কুয়াশা পড়ছে।এতে শীত বেড়েছে। তাই কাজ পাওয়া যাচ্ছে না।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, বুধবার দিনাজপুরের তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ৩ কিলোমিটার। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭শতাংশ। মাঘ শুরু হয়েছে। কিছুটা শীত বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।