বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি\ দিনাজপুর জেলার সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মনজুর আলম ও বর্তমান অফিস সহকারী নির্মল চন্দ্র দেবশর্মাকে দূর্ণীতির অভিযোগে দুদকের মামলায় জেলা হাজতে প্রেরন করেছে বিজ্ঞ আদালত।
গত ২৯ এপ্রিল দিনাজপুর জেলা জজ কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে দুদকের দায়ের করা প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় জেলা হাজতে প্রেরন করা হয়।
দিনাজপুর জেলা দূর্ণীতি দমন কমিশন (দুদক) সুত্রে জানা গেছে, সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মনজুর আলম ও বর্তমান কর্মরত অফিস সহকারী নির্মল চন্দ্র দেবশর্মা পরস্পর যোগ সাজসে অপরাধ মূলক অসদ আচরন ও জাল জালিয়াতি পূর্বক ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি অনুদার সহ কলেজের বিভিন্ন খাত থেকে ২ কোটি ৮৫ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭শত ১২ টাকা আত্মসাত করেছে। আত্মসাতের বিবরনে উল্লেখ করা হয় কলেজের ক্যাশ বহিতে আয় কম দেখিয়ে ১ কোটি ৯৭ লাখ ২৯ হাজার ৮শত ৪৭টাকা, ২০১৪ সালে ৩টি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ৮ হাজার ২শত ৯৩টাকা একই ভাবে ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে ৮টি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৮শত ৭২টাকা, ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে ১৪টি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ৬৪ হাজার ৪৯টাকা, ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে ১৬টি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ৫২ হাজার ১৩ টাকা, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ২৩টি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ২৩টি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ২০ লক্ষ ৮১ হাজার ৪শত ২৯ টাকা, ২০২০ অর্থ বছরে ১৯টি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ১শত ৬২টাকা সহ মোট ২৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ৮শত ১৮টাকা। এছাড়া ৬টি ছাত্র বেতন আদায় রশিদের মাধ্যমে ( ক্যাশ বহিতে উত্তোলন না দেখিয়ে) ৪৩ লক্ষ ৫৪ হাজার ১শত ২০ টাকা, ৬টি রশিদের মূল কপি ও কার্বন কপিতে টাকার পরিমান পরিবর্তন (টেম্পারিং) করে ৩ লক্ষ ৭৯ হাজার ৯শত টাকা, সরকার প্রদত্ত টিউশিন ফি বাবদ ৯৩ লক্ষ ৭৯ হাজার ১৭ টাকা আত্মসাত ও কলেজের নামে ১৭ লাখ টাকা ভুয়া ঋণ দেখিয়ে আত্মসাৎ সহ সর্বমোট ২ কোটি ৮৫ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭শত ১২ টাকা আত্মসাত করার আসামী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মনজুর আলম ও বর্তমান কর্মরত অফিস সহকারী নির্মল চন্দ্র দেবশর্ম্মার বিরুদ্ধে দিনাজপুর স্পেশাল জজ আদালতে মামলা দায়ের করে দিনাজপুর জেলা দুদকের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন। ঐ মামলায় দুইজন আসামীদের বিরুদ্ধে গত ১৪ ফেব্রæয়ারি-২০২৫ তারিখে আদালতে চার্জসীট দাখিল করা হয়। যার চার্জসীট নং-০১। দুদক জেলা কার্যালয় মামলা নং-০৯ তারিখঃ ২১/০৭/২০২২। দিনাজপুর জেলা স্পেশাল জজ আদালতের মামলা নং-১৩/২২।