দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে আগাম জাতের আমন ধান পুরাদমে কাটামাড়াই শুরু হয়েছে। গতকাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে মাঠে মাঠে কৃষক কৃষানিরা ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছে। প্রায় ১ মাস আগেই থেকে মাঠজুরেই পেকে আছে আমন ধান। ব্রি-ধান বিনা ধান সহ স্থানীয় অনেক জাতের ধান ইতোমধ্যে কেটেছে কৃষকেরা নতুন ধান কেটে বাড়িতে আনায় নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে সৌরভ ছড়াচ্ছে কৃষকের ঘর। নতুন ধান কেটে মাড়াই করে খড়ের দামও পাচ্ছে কৃষক। আগাম জাতের ধান কেটে ঐ জমিতে আলু, ভূট্টা, গমসহ শীতকালীন সবজি আবাদ করে অধিক লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। আমন ধান রোপনের পর থেকে শস্য কর্তন না হওয়া পর্যন্ত কৃষি শ্রমিকদের হাতে কোন কাজ থাকত না। বর্তমানে কৃষি শ্রমিকেরা ভূট্টা, আলু ও গম সহ বিভিন্ন জমিতে কাজ করে পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালাচ্ছেন।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে চলতি আমন মৌসুমে আমন ধানের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছিল ১৫ হাজার ২৫০ হেক্টর। বর্তমানে তা অতিক্রম করে ১৫ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। সোমবার উপজেলার বলেয়া হাটে প্রতি মন প্রকারভেদে ধান বিক্রি হয়েছে ১১৫০ থেকে ১২৮০ টাকা পর্যন্ত। কাহারোল উপজেলার ডহচি গ্রামের কৃষক হরিকান্ত রায় জানান তিনি এবার আমন মৌসুমে বিভিন্ন জাতের আগাম ধান আবাদ করে বেশ লাভবান হয়েছেন। তিনি জানান, আগাম জাতের ধান কাটার পর সেই জমিতে ভূট্টা চাষ করেছি।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকতা কৃষিবিদ আবু জাফর মোঃ সাদেক জানান, উপজেলায় আগাম জাতের বিনা ধান ১৭, বিনা ধান-৭, ব্রি-ধান -৮৭ ও ৭৫ এবং হাইব্রিড জাতের কিছু ধান ইতোমধ্যে কাটামাড়াই কর্তন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এবার আবহাওয়া প্রতিকুলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় কৃষকেরা লাভের মুখ দেখছেন। তিনি বলেন, আমন ধান উৎপাদনের জন্য কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের সহযোগীতা করা হয়েছে এবং কৃষি বিভাগের কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তাগণ কৃষকদের সবসময় পরামর্শ দিয়ে নিরোলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।