মিজানুর রহমান, হরিপুর প্রতিনিধি: কেউ কাটছে বাঁশ কেউ তুলছেন ফালি পরিবারের অন্যরা দলবেঁধে তৈরি করছেন কুটির শিল্প সামগ্রী বাড়ির উঠানে ও রাস্তার পাশে বনবাড়ী (পতনডোবা) গ্রামে চলছে বাঁশের কাজ৷ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ৪ নং ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের বনবাড়ী (পতনডোবা) গ্রামে চিত্র সকাল হতেই শুরু হয়ে যায়৷ বাঁশের কাজের মধ্য দিয়ে চলে জীবন যুদ্ধ বাঁশ দিয়ে কুটির শিল্প সামগ্রী তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তারা।
মৃত মধুসুদন চন্দ্রের ছেলে শ্যামল চন্দ্র (৩৮) জানান,২৫ বছর ধরে তিনি এ পেশায় জড়িত সারাদিন উৎসবের যে নারী পুরুষ তাদের নিপুন হাতের তৈরি করেন,কুলা, চাটাই, হাঁস মুরগির খাঁচা, চালুনি, ঢাকি,টুকরি, খালি ঘরের সিলিং,বিভিন্ন ধানের দরজা, দাড়ি, ডালা, খাদি ইত্যাদি৷
তিনি আরো জানায়, এটাই তাদের জীবিকা উপার্জনের অন্যতম পেশা৷ স্ত্রী সন্তানরা সবাই যৌথভাবেই বাঁশ শিল্পের কাজ করে৷যা আয় হয় তাই দিয়ে কোনো রকমেই চলে তাদের সংসার৷স্থানীয় বাজার থেকে একটি বাঁশ কিনে আনি ২০০ টাকা দিয়ে৷একটি বাঁশ থেকেই বিভিন্ন প্রকার জিনিসপত্র তৈরী করে বাজারে কিক্রি করলে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা লাভ হয়৷আমার বাড়ি ঘরের অবস্থাও অনেক খারাপ সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা পাইনি আমি৷