বিরামপুর প্রতিনিধি \দিনাজপুরের বিরামপুরে সরকারী চাল আত্মসাৎ, অনৈতিকভাবে উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়ম অভিযোগে বিরামপুরের দিওড় ইউপি চেয়ারম্যানের পদ শুন্য ঘোষনা করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার আইন মোতাবেক চেয়ারম্যানের পদটি শুন্যের গেজেট প্রকাশ করতে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধানের সাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে দিওড় ইউপির চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়।
দিওড় ইউনিয়নের চেযারম্যান আব্দুল মালেক ২০২১সালের নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে বিজয়ী হয়।
এর আগে ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৯ ইউপি সদস্য চেয়ারম্যান মালেকের বিরদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার বরাবর অনাস্থা প্রস্তাব করেন। এছাড়া একই সময় চেযারম্যানের অপসারণ চেয়ে সাবেক দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ওই ইউনিয়নের স্থানীয় জনগণ উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্বারকলিপি দেয়।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয, দিওড় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মালেক মিয়ার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের সভার কার্যবিবরণী লেখা, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সদস্যদের ছাড়াই স্থায়ী কমিটির সভা করা, প্রকল্প কমিটির সভা ও এলজিএসপি সভাসহ অন্যান্য সভা আহŸান না করা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও মাতৃত্বকালীন ভাতা দেওয়ার সুপারিশের ক্ষেত্রে উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার, ভিজিডি ও ভিজিএফের ৫৭ বস্তা চাল বিতরণ না করে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে রেখে দেওযয়সহ বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব করা হয়েছিল। এতে আরও বলা হয়, ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হওয়ায় জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো অনাস্থা প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে চেয়ারম্যান আবদুল মালেক মিয়ার পদটি স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী শূন্য ঘোষণা করা হলো।
এ ব্যাপারে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিধি মোতাবেক দিওড় ইউনিযনের চেযারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। দ্রæত গেজের প্রকাশ করতে মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে সুপারিশ করা হবে।