বুধবার , ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পীরগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৮৫৫টি বাড়ি নির্মাণ।। নিখুত কাজের জন্য প্রশংসিত উপজেলা প্রশাসন

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১ ১১:০৫ অপরাহ্ণ

পীরগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি নির্মাণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নানা ধরণের অভিযোগ উঠলেও ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে প্রসংশায় ভাসছেন উপজেলা প্রশাসন। প্রকল্পের নির্দেশনার বাইরে বাড়তি কাজ করায় উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি ও জেলা প্রশাসক। ভাল নির্মান সামগ্রী দিয়ে অত্যন্ত নিখুত ভাবে নির্মান করা বাড়িগুলি দেশের মডেল হতে চলেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় পীরগঞ্জে পর্যায়ক্রমে ৮৫৫টি আধা পাকা বাড়ি নির্মান করা হয়েছে। এই উপজেলার ভোমরাদহ ইউনিয়নের ঘোড়াধাপে ২৪টি, খনগাও ইউনিয়নের খনগা বিশ্বসপুর গ্রামে ৮ টি, সৈয়দপুর ইউনিয়নের ভবানিপুরে ৫৮টি, পীরগঞ্জ ইউনিয়নের বেগুনগাওয়ে ৮০টি, গড়গাওয়ে ১৮টি, হাজিপুর ইউনিয়নের বহড়ায় ৩০টি, মোহাম্মদপুরে ৩০টি, হাজীপুরে ৪টি, দৌলতপুর ইউনিয়নের সিন্দৃুল্যায় ৯টি, কোনপাড়ায় ৪০টি, বালুবাড়িতে ১টি, জয়কুড়ে ১৪টি, সেনগাও ইউনিয়নের সিন্দুর্নায় ৭৪টি, দস্তমপুর হঠাৎ পাড়ায় ৬০টি, দস্তমপুর পুকুরপাড় ২৬টি, দানাজপুরে ৪৫টি, মধুহাড়ি পুকুরপাড় ২১টি, গরুহালী পুকুরপাড় ২১টি, জাবরহাট ইউনিয়নের আমিরপাড়ায় ৮৫টি, বড়বাড়িতে ১১টি, ডাঙ্গীপাড়ায় ১টি, করনাই পশ্চিমপাড়ায় ২টি, করনাই হঠাৎপাড়ায় ২টি, জাবরহাট হেসামপাড়ায় ২টি, পাড়িয়াতে ১টি, করনাই গেঞ্জিডুবায় ৩টি, হাটপাড়ায় ৩টি এবং বৈরচুনা ইউনিয়নের অজলাবাদে ৩২টি, বৈরচুনা বাঁশতলীতে ২৪টি ও দক্ষিন নোয়াপাড়ায় ৮৫টি বাড়ি নির্মান করে ভুমিহীন পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তারিফুল ইসলাম জানান, দুই রুম, বারান্দা, পাকাঘড় ও টয়লেট সহ নির্মান করা আধাপাকা টিন সেড বাড়িগুলিতে ভাল মানের ইট এবং পরিমান মত সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। ছাউনিতে ব্যাবহার করা হয়েছে কাঠ ও মজবুত রঙ বেরঙের ডেউ টিন। ঘড়গুলিতে মজবুত ভিত্তি দেওয়া হয়েছে। দরজা জানালার স্টিলের সিট আনা হয়েছে চট্টগ্রাম থেকে। ঘড়ে নিল টেইল ধরা না থাকলেও সব ঘড়েই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ অনুযায়ী লোহার রডের নিল টেইল দেওয়া হয়েছে। এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাবে ঘড়গুলি। সুপেয় পানির জন্য বসানো হয়েছে নলকুপও। বিনামুল্যে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ চলছে। জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম সাংবাদিকদের জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ উঠার পর উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশে বাড়ি/ঘড় পরিদর্শনের জন্য প্রত্যেক জেলায় কমিটি গঠন করা হয়। ঠাকুরগাও জেলা কমিটি এরই মধ্যে বাড়িগুলি পরিদর্শন করে যন্ত্র দ্বারা এর স্থায়িত্ব মান যাচাই করেছেন। অত্যন্ত ভাল ও মান সম্পন্ন ঘড় দেখে এবং মান যাচাই করে উপজেলা প্রশাসনকে ধণ্যবাদ জানিয়েছেন সেই পরিদর্শন টিম। এছাড়াও ঠাকুরগাও জেলা প্রশাসক মহোদয়ও এক সভায় পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনকে ধণ্যবাদ জানিয়েছেন এমন সুন্দর ও টেকশই কাজের জন্যে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, নিবিড় তদারকির মাধ্যামে আমরা যে মানের বাড়ি নির্মান করছি তা দেশের মডেল হতে চলেছে। একই বরাদ্দ দিয়ে কিভাবে নিল টেইল ও মজবুত ভিত্তি দেওয়া হল এ নিয়ে উচ্চ মহলে গবেষনাও চলছে বলে একটি বিশ্বস্ত সুত্র জানিয়েছেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুল ইসলাম জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ইঞ্জিনিয়ার এবং পিআইও সাহেব অত্যান্ত পরিশ্রম করে যতœ সহকারে বাড়িগুলি নির্মান করেছেন। তার জানা মতে বাড়ি তৈরীর কাজে কর্মকর্তাদের যে আনুষাঙ্গিক বিল ছিল তা তারা নেননি। সবই গৃহ নির্মানের পিছনে ব্যয় করেছেন। তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত