বোদা,পঞ্চগড় প্রতিনিধি\সময়ের আবর্তে হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মুখ গুলো নতুন করে দেখতে এবং আবার সেই ছেলেবেলার স্মৃতি ফিরে পাওয়ার আনন্দে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে ১৩৭ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী বোদা সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ১৯৬৮ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা ও ঈদপুর্ণমিলনী সভা বৃহস্পতিবার উদযাপিত হয়েছে।
আলোচনা এতে সভাপতিত্ব করেন ১৯৬৮ব্যাচের এসএসসি পরিক্ষার্থী এবং অনুষ্ঠানের আহবায়ক কৃষিবীদ ড, শরিফুল ইসলাম হাসান শরীফ।
প্রাচীন এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের৮৮বছরের প্রবীণ শিক্ষক জনাব আলহাজ্জ সফিউল ইসলাম অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ১৯৬৮ ব্যাচের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা এ মিলন মেলায় অংশ নেন ।দীর্ঘ কয়েক যুগ পরে একে অপরের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করেন। অনেকে অনেককে চেনা পর্যন্ত হাড়িয়ে ফেলেছেন। কিন্তু নাম ও স্মৃতি আজো মনে রেখেছেন। উপস্থিত সকলের উপস্থিতিতে খোশগল্পে তারা ফিরে যান সুদুর অতীতে।এই দিনটি এক অন্যরকম অনুভুতিতে পরিণত হয় তাদের মনে।
অনুষ্ঠানে প্রবীণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে বক্তব্য রাখেন বলরামরাট স্কুল প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন,সাবেক ব্যাংকার রফিকুল ইসলাম,বিশিষ্ট ঔষধ ব্যাবসায়ী নাজিমউদ্দীন,প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক গোলাম মোর্শেদ,দিনাজপুর কলেজের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রধান, প্রাথমিক স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম,কমিটির সভাপতি কৃষিবীদ ড, শরীফুল ইসলাম হাসান শরীফ প্রমুখ। এসময় তারা বাল্যকালের বন্ধুদের নানা স্মৃতি তুলে ধরেন।
পরে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একমাত্র জীবিত শিক্ষাগুরুকে সৌজন্যমুলক টুপি পায়জামা ও পাঞ্জাবি উপহার দেওয়া হয়। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন,আমার ছাত্রদের দেয়া ভালাবাসার ঋন কখনো শোধ করার মত নয়। একজন শিক্ষকের প্রতি সম্মান, আচার- ব্যাবহার ও শিষ্ঠাচার অধ্যাবশ্যায় ও পাঠদানের নিয়মনীতিকে স্মরণ করে বলেন,সেই সময়ের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার আচরণ ও শিক্ষকদের প্রতি সম্মানবোধ ছিল অতি উত্তম চরিত্রের। আমি সকল শিক্ষার্থীর জন্য দোয়া করব -তোমরাও আমার পরিবারের সকলের জন্য দোয়া করবে। প্রধান অতিধির এসব আলোচনায় এক পর্যায়ে স্মৃতি কাতর আবহাওয়া সৃষ্টি হয়। ১৯৬৮ ব্যাচের অনেকেই উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে দেশে ও বিদেশে চাকুরি করে অবসরে গেছেন। অনেকে মৃত্যু বরণ করেছেন। অনুষ্ঠানে জীবিত ও মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসায় বিশেষ দোয়া , মোনাজাত শেষে স্কুল চত্বরে আনন্দ র্যালী বের করা হয়।।