কাহারোল (দিনাজপুর)প্রতিনিধি\ দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অল্প খরচে কম সময়ে অধিক ধান কাটতে সক্ষম কম্বাইন হারভেষ্টর মেশিন কৃষকের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কৃষি শ্রমিক সংকট কাটাতে বোরো ধানের জমিতে কৃষি শ্রমিক ছাড়াই এই মেশিন দিয়ে অল্প সময়ে ধান কাটা ও মাড়াই হচ্ছে।
দিনাজপুরের কাহারোলের বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, এই মেশিনে ধান কাটা-মাড়াই সহজ ও খরচ কম হওয়ায় সবার কাছে এই মেশিনের চাহিদা বেড়ে গেছে।
কাহারোল উপজেলার ডাবোর ইউপির ডাবোর গ্রামের কৃষক রবিন্দ্রনাথ শুক্রবার সকাল ১১টায় জমিতে ধান কাটা ও মাড়াই করছে এই কম্বাইন হারভেষ্টর মেশিন দিয়ে। এসময় তিনি জানান, ৮বিঘা জমিতে ব্রি ধান-২৯ রোপন করা হয়। ১১৫দিনের মাথায় এই ধান কাটা হচ্ছে। প্রতি বিঘা ধান কাটতে ৪ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। শ্রমিক দিয়ে ১ বিঘা জমিতে ৮ হাজার টাকা খরচ হতো। কম্বাইন হারভেষ্টর মেশিন দিয়ে প্রতি বিঘায় সাশ্রয় হচ্ছে ৪ হাজার টাকা।
একই গ্রামের অপর চাষী হেমন্ত জানান, ১ একর জমির ধান কাটতে কৃষি শ্রমিক চেয়ে ছিল ১৭ হাজার টাকা আর কম্বাইন হারভেষ্টর মেশিন দিয়ে ধান কাটতে দিতে হয়েছে ৯ হাজার টাকা।
কাহারোল উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা, কৃষিবিদ মল্লিকা রানী সেহানবীশ জানান, অল্প সময়ের মধ্যে অধিক ধান কম্বাইন হারভেষ্ট মেশিন দিয়ে কাটার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করা হয়েছে। কৃষি বিভাগ সার্বিকভাবে সকল প্রকার সহযোগীতা করে কৃষকদের। কম্বাইন হারভেষ্টার দিয়ে ধান কাটার ফলে কৃষকদের বোরো ধান উৎপাদনে ৪ হাজার টাকা কম হচ্ছে।
কাহারোল উপজেলা কৃষি স¤প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,চলতি বোরো মৌসমে বোরো আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ৫ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত উপজেলায় ৯৩ভাগ ধান কাটা হয়েছে। আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা শেষ হবে। বর্তমানে বাজারে প্রতিমন বোরো ধান বিক্রি হচ্ছে ১১৫০টাকা থেকে ১১৭৫টাকা।