বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিন দিন বিভিন্ন ধরণের অটোরিকশা বেড়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে বীরগঞ্জবাসী। অটোরিকশাগুলো যেনো এখন বীরগঞ্জবাসীর গলার কাঁটা। রাস্তায় বেড় হলেই চোখে পড়ে অটোরিকশার নানা নৈরাজ্য। প্রয়োজনের তুলনায় অধিক অটোরিকশা রাস্তায়, তাতে নেই তেমন কন্ট্রোলিং ব্যবস্থা,নেই সাইড লাইট, নেই ব্রেক। শিশু, বৃদ্ধা,প্রতিবন্ধী এবং অদক্ষ ড্রাইভার,আর অতিরিক্ত গতি! ফলাফল অটোমেটিক এক্সিডেন্ট। এটি এখন দিনাজপুরের বীরগঞ্জের রাস্তাগুলোর বাস্তব চিত্র। রাস্তাগুলো এখন যেকোনো সময়ের তুলনায় প্রশস্ত এবং সুন্দর। প্রতিনিয়তই বড় হচ্ছে রাস্তাগুলো, কিন্তু এর সুফল পাচ্ছেননা জনগণ। সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-পঞ্চগড় সড়কটি বেশ সুন্দর এবং প্রশস্ত। রাস্তায় নেই কোনো প্রতিবন্ধকতা। তবে বীরগঞ্জ পৌরশহরের বিজয় চত্বর,তাজ মহল মোড়ের মহাসড়ক জুড়ে যানজট লেগেই থাকে। সিএনজি – অটোরিকশা পাগলু ও অন্যান্য যান যত্রতত্র পার্কিং করার জন্যই যানজটের প্রধান কারণ। অটোরিকশার অধিক্য, অদক্ষ ড্রাইভার,ফিটনেসবিহীন গাড়ি, অধিক গতি, যত্রতত্র গাড়ি ঘুরাতে গিয়ে জ্যামের সৃষ্টি করে অটোগুলো। অন্যদিকে নিষিদ্ধ যানের দখল করে রেখেছে মহাসড়ক। দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে যাওয়া ঢাকা-পঞ্চগড়, দিনাজপুর-বীরগঞ্জ মহাসড়কে অবাধে চলছে সিএনজি,লেগুনা,অটোরিকশা,রিকশা,নসিমন,করিমন ও ভটভটিসহ বিভিন্ন ধরণের তিনচাকার যান। ২০১৫ সালের পহেলা আগস্ট সারা দেশের মহাসড়কে এসব যান নিষিদ্ধ করে ২৭ আগস্ট সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এসব যানবাহন চলাচল করলেও স্থানীয় প্রশাসনের তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডগুলো থেকে দিনভর বীরগঞ্জের বিভিন্ন সড়কে দাঁপিয়ে বেড়ায় এসব নিষিদ্ধ যান। যানবাহনগুলো মহাসড়কে যত্রতত্রভাবে চলাচল করায় প্রতিনিয়তই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা জানান,দিনের বেলায় প্রতিটি স্ট্যান্ড থেকে সিরিয়াল মেইন্টেন করে চললেও সন্ধ্যার পর থেকে তারা যাত্রীদের নিকট থেকে দ্বিগুণ ভাড়া বেশি নিচ্ছেন। সড়কে চলাচলকারী কয়েকজন পাগলু,সিনএজি ও অটোরিকশা চালক অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে বলেন,রাতে যাত্রী হয় না। অধিকাংশ অটোচালকই অদক্ষ, অযোগ্য ও অপরিণত বয়সের। তাদের কারণেই প্রতিনিয়তই যানজট ও দুর্ঘটনার ঘটে থাকে। এছাড়াও অটোবাইক সমিতি, অটোবাইক সোসাইটি,পাগলুর সংগঠনের যেমন মাসিক চাঁদা, কল্যান চাঁদা, সদস্য ফি, সদস্য নবায়ন ফিসহ বিভিন্ন সব চাঁদার টাকা বহন ও ইজারাদার কতৃক পৌরসভা নির্ধারিত টোলের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত এই ভাড়া নেয়া হচ্ছে। এছাড়া পৌরশহরের সীমানার বাহিরে পাশ্ববর্তী জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে লোড-আনলোড করা হলেও বাধ্যতমূলক ভাবে অতিরিক্ত টোল আদায় করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা- যাওয়া করা যাত্রীসহ ভুক্তভোগীদের অনেকেই বলেন, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসংখ্য হারে বেড়ে যাচ্ছে অটোরিকশা,বাড়ছে জ্যাম,বাড়ছে দুর্ঘটনাও। রাস্তা পারাপারে বৃদ্ধা ও শিশুদের নিয়ে চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে। গতিতে নেই নিয়ন্ত্রণ, রিকাশাগুলোর অধিকাংশরই নেই কোনো বডি ফিটনেস। বিদ্যুৎতের উপরও চাপ বেড়ে চলছে। অটোরিকশাগুলো ফুটপাত দখল করে যেখানে – সেখানে পার্কিং করার কারণে পৌরশহরে যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট নিরসনে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।