বিরল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি \ দিনাজপুরের বিরলে অপরুপ দৃশ্যে বিস্তৃত মাঠ জুড়ে বাতাসে দল খেতে শুরু করেছে হাজারো কৃষকের স্বপ্ন ইরি-বোরো-এর সোনালী ধানের শীষ।
আবহাওয়া অনুক’লে থাকলে আরমাত্র কয়েক দিনের মধ্যে কৃষকদের ঘরে উঠতে শুরু করবে এইসব ধান। আর এই নতুন ধান ঘরে তুলার আনন্দে কৃষকদের মাঝে লক্ষ্য করা যাচ্ছে এক অন্য রকম অনুভ’তি। অনেকে আগে ভাগে নিজের ফসল ঘরে তুলতে আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছেন কৃষি শ্রমিক ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিস পত্র। তবে আবহাওয়া ও ধানের বাজার মূল্য নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
বিরল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় মোট ১৫ হাজার ৭শ’ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চাষাবাদ শুরু হয়।
চারা রোপনের কয়েক দিনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে তা দাড়ায় ১৬ হাজার ৪০ হেক্টর-এ। তবে অন্যান্য মৌসুমে এ উপজেলায় ব্রিধান ২৮ ও ২৯ জাতের বেশি আবাদ হলেও এবারের চিত্র একটু ভিন্ন। এবারের মৌসুমে মাঠ দোখল করে নিয়েছে ব্রিধান ৮৮, ৮৯, ১০০, ১০২ ও ১০৪ সহ ইত্যাদি আধুনিক জাতের ধান। এই জাতের ব্রি ধান গুলো পানি সাশ্রয়ী, স্বল্পজীবন, উচ্চ ফলনশীল এবং তুলনা মূলক রোগ ও পোকা প্রতিরোধী বলে জানিয়েছেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোস্তফা হাসান ইমাম।
উপজেলার ভান্ডারা ইউপি’র বালান্দোর গ্রামের কৃষক রিয়াজুল ইসলাম জানান, এবারের ইরি-বোরো মৌসুমে প্রথম থেকেই আবহাওয়া অনুক’লে আছে। আর মাত্র কয়েক দিন এভাবে থাকলেই হয়। দেশ্যে বিভিন্ন এলাকায় এবারে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এই মহুর্তে তেমন কিছু হলে বিস্তর ক্ষতিতে পড়বে কৃষকরা। তাই শঙ্কায় আছি। তবে এবার প্রচুর ফলন এসেছে। আমি ৮৮ জাতের ব্রিধান আবাদ করেছি। আশা করছি আশানুরুপ ফলন পাবো। আবহাওয়া ও ধানের বাজার ভালো থাকলে এবার মৌসুমে কৃষকরা লাভবান হবার সম্ভাবনা রয়েছে।