শনিবার , ১ জানুয়ারি ২০২২ | ২৭শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলের পানকৌড়ির কলকাকলিতে মুখরিত কুলিক নদীর পাশে এ শিমুলগাছ!

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
জানুয়ারি ১, ২০২২ ৩:৫৫ অপরাহ্ণ

মোঃ মজিবর রহমান শেখ,,
চারদিকে সবুজের শ্যামলে সমারোহের মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে শিমুলগাছ। বিকেলের সোনালি রোদে গাছের ডালে ডালে পানকৌড়ির পালক জ্বলজ্বল করে উঠে।গাছটিতে একসঙ্গে এত পানকৌড়ি দেখে শতব্যস্ততার মধ্যেও অনেক পথচারী একটু দাঁড়িয়ে চোখ জুড়িয়ে নিচ্ছেন। আর তা দেখে প্রাণ জুড়ায় ঐ গাছের মালিক যাদব রায়ের। যাদব রায়ের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলা থেকে কাঠালডাঙ্গী যাওয়ার সড়ক ঘেঁষা কেউটান গ্রামে।
যাদব রায় বলেন,পাখিদের সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব। আর এখানে পাখি আসে বলেই প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে কত মানুষ দেখতে আসে। দেখে ভালো লাগে। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে শীতের মৌসুম কমে গেলে ওরা যখন চলে যায়, তখন বুকটা ফাঁকা ফাঁকা লাগে। আবার যখন ফিরে আসে তখন বুক ভরে যায়। পাখির কারণে ক্ষতি হলেও, সব ক্ষতি আমি নিয়েছি মেনে। সরেজমিনে দেখা গেল,কুলিক নদীর পাশে সব গাছ ছাড়িয়ে মাথা উঁচু করে আছে একটি শিমুলগাছ। শিমুলগাছের ডালে ডালে শুধু পানকৌড়ি আর পানকৌড়ি। কত যে পানকৌড়ি,তার হিসাব নেই। পানকৌড়ির কলকাকলিতে মুখর চারদিক। আর এই দৃশ্য দেখতে ভিড় করেছে অনেক মানুষ। আর এই পাখিগুলোর নিরাপদ অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে গাছটি। পাখিগুলোর কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। পাখিগুলো দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে ভিড় করছেন অসংখ্য মানুষ। তবে স্থানীদের অভিযোগ,আগের মতো এবারে একটু কম দেখা মিলছে এই পাখিদের। কারন ইদানিং কিছু মানুষ হাতে বন্ধুক নিয়ে এসে পাখিগুলো শিকার করছেন। পাখিগুলো শিকার না করার জন্য বলা হলেও তারা কোন কথা শোনে না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সেই সাথে পানকৌড়ি পাখি শিকার বন্ধ করার দাবী জানান স্থানীয়রা। কেউটান গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ারুল ইমলাম বলেন, রাতে পাখিগুলো শিমুল গাছটিতেই থাকে। সকাল হলেই পাখিগুলো বেড়িয়ে পড়ে খাদ্যের খোঁজে। আবার সন্ধ্যা হলেই ফিরে আসে গাছটিতে। দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। এই পানকৌড়ি পাখিগুলো শিমুল গাছটিকে তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল মনে করে বাস করছে। এক সময় এ গাছটিতে প্রচুর পরিমাণে পাখি ছিল। কিন্তু পাখি শিকারীদের কারণে তার সংখ্যা অনেকাংশে কমে গেছে। তাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। পাখিপ্রেমী রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন,পাখিগুলোর কারণে ঐ এলাকার সৌন্দর্য ফিরে পায়। পাখি আমাদের পরিবেশ রক্ষায় প্রচুর ভুমিকা রাখে। তাই পানকৌড়ি পাখিগুলোর নিরাপত্তা সহকারে পরিচর্যা করলে পাখির সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। শিমুল গাছটি যেন নিরাপদে থাকতে পারে সে জন্য প্রশাসনকেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রানীশংকৈল
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)সোহেল সুলকান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন,পাখি আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য ধরে রাখে। তাই পাখিদের প্রতি সকলকে সহনশীল হতে হবে। পাখি শিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি পাখিগুলোর নিরাপত্তা দিতে প্রশাসনিক তৎপরতা আরো জোরদার করা হবে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাণীশংকৈলে নির্বিঘ্নে পশুর হাট চালালো ইজারাদার

দিনাজপুর চেম্বার অফ কমার্স এবং দিনাজপুর চাল কল মালিক গ্রুপ’র বন্যা দুর্গতদের জন্য১৫ টন চাল প্রেরন

বীরগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

পঞ্চগড়ে বিএনপির জনসভা এই বছরের মধ্যে ইলেকশন হবে এবং তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন -বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু

আওয়ামীলীগের অধীনেই নির্বাচন, ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই -হুইপ ইকবালুর রহিম

ঠাকুরগাঁওয়ে ক্ষণস্থায়ী লোকশিল্পে মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান

ঘোড়াঘাটে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ২ যুবক আটক, পুলিশের প্রেস ব্রিফিং

আহসান কবিরের গান ‘ভালোবাসার রঙ মাখো’

সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সূধীজনের আয়োজনে বিশাল সূধী সমাবেশ

বালিয়াডাঙ্গীতে ১২ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড ২০টি গ্রাম, নারী-শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু