বীরগঞ্জে ব্যপক হারে বেড়ে গিয়েছে গরু চুরি। চুরির ভয়ে গোয়াল ঘরে নিজেদের গরুর দড়ি হাতে বেধে রাত যাপন করছেন সাধারণ কৃষকেরা। দিনাজপুর জেলার সবচেয়ে বড় উপজেলা বীরগঞ্জ। এই উপজেলায় ১১টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা রয়েছে। গত ১ মাস থেকে এই উপজেলায় ব্যাপক হারে গরু চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২০ এপ্রিল ২টি চুরি যাওয়া গরু ও ১১টি দেশী অস্ত্র রাম দা,হাসুয়া,প্লাস মেশিন, চাইনিজ কুড়াল, ওয়াল কাটা বাটার,তালা কাটা যন্ত্রসহ ১ জন চিহ্নিত চোর বীরগঞ্জ উপজেলা সদর পৌরসভার জগদল হাট পুকুর গ্রামের আবু সাঈদের পুত্র রফিকুল ইসলাম (৩৫) কে স্থানীয় কাউন্সিলর সহ স্থানীয় জনতা কতৃক আটক হয়।বিষয়টি বীরগঞ্জ থানায় অবগত করে এসআই মো.তাজুল ইসলামের নিকট সোপর্দ করা হয়। হাতেনাতে আটক করা হলেও পুলিশ ওই চুরির অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ড না করে বীরগঞ্জ থানায় গত ১০ এপ্রিল দায়েরকৃত অপর একটি গরুচুরি মামলায় ধৃত গরু চোর রফিকুল ইসলাম কে সন্দেহমূলক আসামি হিসেবে আদালতে সোর্পদ করেন। ২দিন পরে জেল হাজত থেকে ছাড়া পেয়ে ওই রফিকুল চোর সংঘবদ্ধ হয়ে বীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গরু চুরির মহা উৎসবে মেতে উঠে। সেইসাথে এলাকার সাধারণ মানুষদের গরুচুরি সহ বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানো ও প্রাননাশের হুমকি ধামকীতে অতিষ্ট হওয়ায় এবিষয়ে গত ১৬ জুন ১১২ জন ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দিনাজপুর পুলিশ সুপার বারবার পেশ করে পুলিশের হস্তক্ষেপে সংঘবদ্ধ গরু চোরদের গ্রেফতার করার দাবী করেন জানায়। বীরগঞ্জ থানার ওসি বরাবরে পৌরসভার মেয়র, সুজালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ,ইউপি মেম্বার সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সচেতন এলাকাবাসীর পক্ষে ১৯২ জন সাক্ষরিত অপর একটি গন পিটিশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক দিনাজপুর, দিনাজপুর পুলিশ সুপার, বীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে অবগত করা হয়। বর্তমানে কিছুদিন যাবৎ গরু চুরির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় রফিকুল চোর চক্রের দৌড়াত্নে অতিষ্ট ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন