চিরিরবন্দর উপজেলার আকর্ষণীয় ও বড় গরু এটি বললেন বললেন সংশ্লিষ্ট খামারিরা। প্রায় ৫বছর ধরে মহারাজাকে লালন-পালন করছেন চিরিরবন্দর উপজেলার ঘুঘুরাতলী বাজারের খামারী আপেল মাহমুদ।
মহারাজার খাবারের তালিকায় রয়েছে, নেপিয়ার সবুজ ঘাস, ভেজানো ছোলা, গমের ভুষি, খৈল-মিষ্টি কুমড়াসহ নানা ধরনের পুষ্টিকর খাদ্য। এ গরুকে প্রতিনিয়ত ৩-৪ বার গোসল করাতে হয়। ব্যবহার করা হয় দামি সাবান ও শ্যাম্পু। মশা যাতে কামড় না দেয় সেজন্য স্প্রে করা হয় মশানাশক ওষুধ।
মহারাজার পরিচর্যাকারী নিতাই বলেন, তিনবছর ধরে আমি এই গরুর সেবা যতœ করে আসছি। দিনে ৫বার খাওয়াতে হয় গরুটিকে।
গরুর মালিক আপেল মাহমুদ জানান, গরুর বয়স পাঁচ বছরের বেশী। নাম রাখছি মহারাজা। গতবারের কুরবানী ঈদে গরুটিকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনলাইনে গরু বিক্রি হওয়ার কারণে এই গরুটির তেমন দাম ওঠেনি। তারপর গরুটিকে আবার বাড়িতে ফেরত আনি। প্রতিদিন এই গরুটির পিছনে ব্যয় আনুমানিক দেড় হাজার টাকার উপর। প্রায় ৩৮মণ ওজনের এই মহারাজার মুল্য ২২ লাখ টাকা। গত বছর গরুটিকে ঢাকা থেকে ফেরত আনার পর অন্তত চার লাখ টাকার বেশী খাবার খাওয়ানো হয়েছে।