খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের জোয়ার গ্রামে ১৪ বছর বয়সের এক ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বেসরকারী সংস্থা নিজেরা করি এর সহযোগিতায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কার্যালয়ে বিয়ে দিবে না মর্মে মেয়ের বাবার লিখিত অঙ্গীকার দেওয়ার পরেও রাতের আধারে সেই মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, খামারপাড়া ইউনিয়নের জোয়ার গ্রামের মোজাম্মেল হকের একমাত্র মেয়ে মোসলেমা আক্তার আঁখি (১৪) এর সাথে ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের চকসাকোয়া গ্রামের ফয়মদ্দিন এর ২য় ছেলে মাসুদ রানার সাথে গত ১৮ জুলাই সোমবার বিয়ের দিন ঠিক হয়। এর আগের দিন গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারী সংস্থা নিজেরা করি এর মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন বিয়ের দিন বিষয়টি জানতে পেরে খামারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিয়ে বন্ধ করার দায়িত্ব দেয়। মেয়ের পরিবার ইউপি চেয়ারম্যান ও নিজেরা করি সংস্থার কাছে মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়া বিয়ে দিবে না মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামাও নেয়। কিন্তু এসব উপেক্ষা করে রাতের আধারে নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন।
এ বিষয়ে নিজের করি সংস্থা’র উপজেলা সমন্বয়ক কল্যাণী রায় বলেন, ইউএনও রাশিদা আক্তারের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়েটি বন্ধ করলেও মেয়ের বাবা তা উপেক্ষা করে নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দেন। এ ধরনের বিয়ের কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ বেশি হয়। এমনকি মায়েরা পুষ্টিহীনতায় ভোগে। আমরা সংস্থার পক্ষ থেকে প্রশাসনের সাথে পরামর্শ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।