খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি \ দিনাজপুরের খানসামায় বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি আসার পথে ধান ক্ষেতে অপো রাণী রায় নামে নারী এবং জমি চাষ করতে গিয়ে ইউনুস আলী নামে ট্রাক্টর (হ্যারো) চালক এবং আম বাগান থেকে সাদেকা বেগম নামে আরেক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনা ৩টি গত ২৯ জুলাই শুক্রবার ঘটেছে।
নিহত অপো রাণী রায়(২৩) মিশন চন্দ্র রায়ের স্ত্রী এবং মৃত ইউনুস আলী ভাবকি ইউপির বাসিন্দা।
অপরজন নিহত নারী সাদেকা বেগম (৩২) উপজেলার তেবাড়িয়ার ডাঙ্গাপাড়া এলাকার আতুস সামাদের মেয়ে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া কুমার পাড়ায় বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি যাওয়ার পথে ধান ক্ষেতে মিশন চন্দ্র রায়ের স্ত্রী অপো রাণী রায় এর লাশ পথচারীরা দেখতে পায়। পাশেই নিহতের সাথে ১০বছরের মেয়ে বিপাশা রাণী রায়কেও অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। পরে পথচারীরা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুরে পাঠায়। আর অজ্ঞান হওয়া শিশুটিকে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অপরদিকে স্থানীয়রা একইদিনে শুক্রবার রাত প্রায় ১১টার দিকে খানসামার ভাবকি ইউপির রেয়াজ ডাক্তার পাড়ায় জমি চাষ করতে গিয়ে চাষকৃত জমি থেকে ট্রাক্টর (হ্যারো) চালক ইউনুস আলীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে সুরতহালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়ার প্রাথমিক ধারনা করা হলেও পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে।
অপরদিকে, একইদিনে সকালে উপজেলার ভেড়ভেড়ী গ্রামের সায়েদ চেয়ারম্যানপাড়ায় একটি আম বাগান থেকে সাদেকা বেগম নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নারী সাদেকা বেগম (৩২) উপজেলার তেবাড়িয়ার ডাঙ্গাপাড়া এলাকার আব্দুস সামাদের মেয়ে।নিহতের ভগ্নিপতি মাহাবুর ইসলাম জানান, তাদের ১৫ বছর আগে জাহাঙ্গীর ইসলামের বিয়ে হয়েছিল। সেখানে ৩টি ছেলে সন্তান রয়েছে। সংসারে খুটিনাটি বিষয় নিয়ে প্রায়শই ঝগড়া ও নির্যাতন করায় তাদের তালাক হয়। পরে পরিবারকে না জানিয়ে নীলফামারীর দারোয়ানী এলাকায় সলেমান মিস্ত্রির সাথে বিয়ে হয় সাদেকার। নতুন স্বামীর বাড়ি থেকে বাচ্চাদের খোঁজখবর নিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে জাহাঙ্গীরের বাড়িতে আসে। এরপর সকালে জানতে পারি সাদেকাকে কে বা কারা হত্যা করে মরদেহ আমবাগানে ফেলে রেখেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খানসামা থানার ওসি (তদন্ত) তাওহীদুল ইসলাম মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ ৩টি উদ্ধারের পর সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই সঠিক তথ্য জানা যাবে। ইতিমধ্যে আমরা তদন্ত কাজ শুরু করেছি।