বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি \ ভাষা-সংস্কৃতির ভেদাভেদ ভুলে বাংলাদেশীকে বিয়ে করে সুদূর মিশর থেকে বাংলাদেশে এসে ঘর সংসার শুরু করেছেন নুরহান (২০)নামে এক মিশরী তরুণী।
গত ৪ বছর পূর্বে সুদূর প্রবাস মিশরে কাজের সুবাদে পরিচয় হয় বাংলাদেশি ছেলে ৩৫ বছর বয়সি শমসেরের সঙ্গে। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে গড়ে উঠে বন্ধুত্ব। বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক এরপর ২ মাসের মাথায় তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
বিয়ের ৪ বছর পর গত ১০জুলাই নুরহান তার স্বামীর বাড়ী বাংলাদেশে এসেছেন। স্বামী শমসের দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ৩নং শতগ্রাম ইউনিয়নের অর্জনুহার গ্রামের কৃষক বাদশা মিয়ার ছেলে।
ভিনদেশীদের ভালোবাসার টানে নিজ দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আসার ঘটনা অহরহ ঘটলেও ভিনদেশী ছেলেকে বিয়ে করে নিজ দেশ ছেড়ে একটি অপরিচিত দেশে ঘর সংসার গড়ে তোলার ঘটনা বিরল। কিন্তু শমসের কে বিয়ে করে নুরহান এখন পুরাদস্তুর এক বাংগালী বধু। স্বামী শমসের সাথে গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের অর্জুনাহার গ্রামে বসবাস শুরু করছেন। ইতিমধ্যে শমসের ও নুরহান কোল জুড়ে একটি মেয়ে এবং একটি ছেলে এসেছে। বড় মেয়ের বয়স ৩ বছর। নাম রাখা হয়েছে রুকাইয়া এবং ছেলে মোঃ ইয়াসিন ১১ মাস বয়সী।
নুরহান বলেন, পরিবারের মতামত নিয়ে তিনি এদেশে এসেছেন। ইচ্ছে এখানেই থেকে স্বামীর সংসার করবেন। কারণ এদেশেটা খুব সুন্দর। খোলা মাঠ আর খোলা আকাশ সাথে প্রান্তর জুড়ে সবুজ মাঠ দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। পরিবারের লোকজন বেশ ¯েœহ করে বলে তিনি জানান।
নুরহানের স্বামী শমসের জানান, গত ৪ বছর পুর্বে তাদের প্রথম পরিচয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে। টানা ২মাসের বুঝাপড়ার একপর্যায়ে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছেন তারা। দুজনের কৃষ্টি কালচার ভিন্ন হলেও এখনও পর্যন্ত তাদের মধ্যে কোন সমস্য সৃষ্টি হয়নি। দুজেনর ইচ্ছে বাংলাদেশে থেকে যাওয়ার। তবে পিরামিডের দেশ মিশরের কায়রো শহরে নিজস্ব গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন বলে তিনি জানান।
এদিকে ভিনদেশি বধূ ঘরে আসায় খুশির আমেজ বিরাজ করছে শমসের এর পরিবারের মাঝে। পাশাপাশি বিদেশি বধূ আসার খবরে আশপাশের এলাকার মানুষের পদচারনায় মুখরিত শমসেরের বাড়ির আঙ্গিনা।