প্রয়োজনে ভারত থেকে ডিম আমদানি করা হতে পারে- এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দিনাজপুরের হিলিতে কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম। মাত্র একদিনের ব্যবধানে প্রতি পিস ডিমে এক টাকা করে কমেছে। একদিন আগেও প্রতি পাতা (৩০ পিস) ডিম ৩৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে তা কমে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারে ডিম কিনতে আসা আব্দুর রাজ্জাক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকায় উঠে গিয়েছিল। তবে আজ ডিমের দাম গতকালের চেয়ে একটু কমেছে। বৃহস্পতিবার প্রতি পিস ডিম ১১ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে আমাদের কিছুটা সুবিধা হয়েছে।’
হিলি বাজারের ডিম বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সাধারণত রংপুর অঞ্চলের খামার থেকে ডিম সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করি। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে এই পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। ডিমের দাম বাড়তির কারণে আমাদের বিক্রি যেমন কমেছে একইসঙ্গে ক্রেতাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডাও হচ্ছিল।’
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘খাবারের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। সঙ্গে তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচও বেড়েছে। এসব কারণেই বেড়েছে ডিমের দাম। তবে গতকাল এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রয়োজনে ভারত থেকে ডিম আমদানির কথা জানিয়েছিল। এই খবরে মোকামে ডিমের সরবরাহ আগের তুলনায় বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। আজ পাতা প্রতি ৩০ টাকা করে ডিমের দাম কমেছে।’
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নিয়মিত বাজার তদারকি করা হচ্ছে। অধিকমূল্যে পণ্য বিক্রি করাকে আমরা কখনও প্রশ্রয় দেবো না। ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় সবসময় আমাদের আইনি পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।’