রবিবার , ২১ আগস্ট ২০২২ | ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাধ্যের মধ্যে আমিষের চাহিদা পূরণে দিনাজপুরে প্রাণিসম্পদ পণ্য বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
আগস্ট ২১, ২০২২ ১০:২৫ অপরাহ্ণ

ব্রয়লার, সোনালী ও দেশি মুরগীর দাম এখন অনেক বেশি। এতে ক্রয় ক্ষমতা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রায় নাগালের বাইরে। একটি গোটা মুরগি কেনার সামর্থ অনেকের নেই বললেই চলে। আর তাই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাধ্যের মধ্যে আমিষের চাহিদা পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে দিনাজপুরের মহিলা বহুমূখী শিক্ষা কেন্দ্র (এমবিএসকে)। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে সংস্থাটি দিনাজপুরে স্থাপন করলো প্রাণিসম্পদ পণ্য বিক্রয় কেন্দ্র।
মহিলা বহুমূখী শিক্ষা কেন্দ্র (এমবিএসকে) সূত্রে জানা গেছে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাধ্যের মধ্যে আমিষের চাহিদা পূরণে দিনাজপুরে এই প্রাণিসম্পদ পণ্য বিক্রয় কেন্দ্র ৪টি বাজারে স্থাপিত হয়েছে। যা শহরের নিমনগর ফুলবাড়ি বাসস্ট্যান্ড, হাউজিং মোড়, বালুবাড়ি খোকন মৌলভীর মোড় ও সদর উপজেলার কিষাণ বাজারে স্থাপন করা হয়। এই কেন্দ্রগুলো থেকে ব্রয়লার, সোনালী, পেঁকিন হাঁস, টার্কির কাঁটা মাংস বিক্রয় করা হয়।
সরেজমিনে দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ি খোকন মৌলভীর মোড় এলাকায় স্থাপিত প্রাণিসম্পদ পণ্য বিক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, কেন্দ্রের পরিচালক মনজুরুল হক মিজান গ্রাহককে একটি গোটা ব্রয়লার মুরগি থেকে কেঁটে ওজন করে মাংস বিক্রি করছেন। শরীরে এপ্রোণ আর হাতে গেøাবস পরিহিত অবস্থায় স্বাস্থ্যসম্মতভাবে মুরগি কাটছেন তিনি। তিনি জানান, দিনাজপুর শহরে কাটা মুরগির মাংস বিক্রির প্রচলন ছিল না। এতে অনেক গরীব মানুষ ও মেসের শিক্ষার্থীরা ক্রয় করতে পারছিলনা। এই কেন্দ্র স্থাপনের ফলে যার যতটুকু সাধ্য ততটুকু ক্রয় করতে পারছেন। কারও একটি সম্পূর্ণ মুরগী ক্রয় ক্ষমতা বা প্রয়োজন না থাকলে সে তার সক্ষমতা অনুযায়ী মাংস ক্রয় করছেন। তিনি আরও জানান, এখানে কাঁটা মাংস স্বাস্থ্য সম্মতভাবে সংরক্ষণ করা হয়। তা ওজন অনুযায়ী বিক্রি করা হয়। মনজুরুল হক মিজান বলেন, এই কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন শ্রেণির ক্রেতা পরিচ্ছন্ন পরিবেশে নিদ্বিধায় মাংস ক্রয় করছেন। আর প্রতিদিন গড়ে ১২০ থেকে ১৫০ জন ক্রেতা ব্রয়লার মুরগি ৩৫-৪০টা, সোনালী মুরগি ৩০-৩৫, হাঁস ৫-৭টার কাঁটা মাংস ক্রয় করে থাকেন।
মাংস ক্রয় করতে আসা বালুবাড়ি এলাকার দিনাজপুর সরকারি সিটি কলেজের শিক্ষার্থী ফাহিম ইসলাম বলেন, আমার বাড়ি বীরগঞ্জে। দিনাজপুর শহরে মেস ভাড়া করে থাকি। আগে সপ্তাহে একদিন শুধু শুক্রবার একটি সম্পূর্ণ মুরগি কিনতাম। আর এখন মুরগির কাটা মাংস বিক্রি ব্যবস্থা থাকায় প্রায় প্রতিদিনই চাহিদা মোতাবেক ক্রয় করতে পারছি বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
এ বিষয়ে মহিলা বহুমূখী শিক্ষা কেন্দ্র (এমবিএসকে) এর ফোকাল পার্সন মো. আব্দুল হাকিম মিয়া বলেন, নিরাপদ কাঁটা মাংস যাতে স্বল্প আয়ের মানুষ নিজের সাধ্যমত ক্রয় করে নিয়মিত খেতে পারে তথা আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পারে। যেহেতু অত্র এলাকায় কাঁটা মাংস বিক্রির প্রচলন ছিলনা, সেহেতু মানুষের মধ্যে অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য পাশাপাশি স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীরা এ ধরণের ব্যবসা চালুর মাধ্যমে আয়ের পথ সৃষ্টি করা। এ পর্যন্ত এমবিএসকে সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আওতায় অনুরূপ ৪টি পণ্য বিক্রয় প্রদর্শনী আকারে স্থাপন হয়েছে।
ব্যক্তিগত উদ্যোগে ক্ষুদ্র পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা আরও বেশি সংখ্যক নিরাপদ কাঁটা মাংস বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

রাণীশংকৈলে সড়কবিহীন পরিত্যক্ত কালভাট,সন্ধা নামলেই বসে মাদকের আড্ডা

ঠাকুরগাঁওয়ে ভাষা সৈনিক মরহুম দবিরুল ইসলাম রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এখনো পেল না

দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির প্রতিবাদে পীরগঞ্জে কমিউনিস্ট পার্টির বিক্ষোভ সমাবেশ

নজরুল ইসলাম আর নেই

মুক্তিযুদ্ধ এবং ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে আদিবাসীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন-এমপি গোপাল

ঠাকুরগাঁওয়ে অতি দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে ছাগল বিতরণ

রাণীশংকৈলে দুস্থ মানুষের মাঝে সেমাই-চিনি ও দুধ বিতরণ

পার্বতীপুরের যমুনায় ভেসে উঠল শিশুর লাশ

পার্বতীপুরের যমুনায় ভেসে উঠল শিশুর লাশ

বোচাগঞ্জে জঙ্গবিাদ ও মৌলবাদ বরিোধী মানববন্ধন

বীরগঞ্জে অসহায় এক বৃদ্ধ ভিক্ষুককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন আলোর পথে সংগঠন