বুধবার , ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ৩১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরের তরুণের উদ্ভাবন কৃষকের সুরক্ষায় ড্রোন

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২ ১২:০১ পূর্বাহ্ণ

কৃষিজমিতে এখনো হাতেই সার ও কীটনাশক ছিটান বেশির ভাগ কৃষক। এভাবে কীটনাশক ছিটাতে গিয়ে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন। কখনো কখনো মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এ পরিস্থিতি দেখে কৃষকের সুরক্ষায় সার ও কীটনাশক ছিটানোর কাজে ব্যবহারযোগ্য ড্রোন তৈরি করেছেন দিনাজপুরের সবুজ সরদার (১৮) নামের এক তরুণ।
রিমোট কন্ট্রোল ব্যবস্থার সাহায্যে এবং জিপিএসের মাধ্যমে দূর থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় ড্রোনটি। সবুজ এর নাম দিয়েছেন ‘কিষানি ড্রোন’। নিজের উদ্ভাবন সম্পর্কে সবুজ সরদার বলেন, ‘শুধু কৃষিকাজ নয়, এই ড্রোনের মাধ্যমে পুকুর বা জলাশয়ে মাছের খাবার, খোল ছড়ানো যাবে। স্প্রে করা যাবে আম, লিচুসহ যেকোনো ফলমূলের বাগান ও সবজি ক্ষেতে। ’
সবুজ জানান, ড্রোনটির ধারণক্ষমতা দুই লিটার। একবার চার্জ করলে ড্রোনটি ৩০ মিনিট উড়তে পারে। এই ড্রোন তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। আরো ৪০-৫০ হাজার টাকা যোগ করলে ২০-২৫ লিটার তরল পদার্থ নিয়ে উড়তে এবং স্প্রে করতে পারবে ড্রোনটি। চলবে কয়েক ঘণ্টা। একই সঙ্গে ঘণ্টায় ১০ একর জমিতে কীটনাশক স্প্রে করা সম্ভব।
এর আগে চালকবিহীন ছোট বিমানও তৈরি করেছিলেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের পলি শিবনগর গ্রামের এই তরুণ। ওই গ্রামের ভ্যানচালক একরামুল সরদারের ছেলে সবুজ। তাঁর নতুন উদ্ভাবন দেখতে প্রতিদিনই বাড়িতে ভিড় করছে উত্সুক মানুষ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সবুজ সরদার ফুলবাড়ী কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২১ সালে এসএসসি পাস করে দিনাজপুর উত্তরণ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু অর্থের অভাবে সেই বেসরকারি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারেননি। এরপর গ্রামের মোড়ে একটি দোকানে মোবাইলের মেকানিকের কাজ নেন তিনি।
সবুজ সরদার জানান, অর্থের অভাবে বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়তে পারেননি। তাঁর এক বছর নষ্ট হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে ফুলবাড়ী উপজেলার যেকোনো একটি কলেজে ভর্তি হয়ে পড়ালেখা শুরু করবেন তিনি।
সবুজ জানান, গত ইরি-বোরো মৌসুমে ক্ষেতে কীটনাশক ছিটাতে গিয়ে এক কৃষি শ্রমিককে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়া দেখে তাঁর মাথায় আসে কৃষিজমিতে ঝুঁকিবিহীনভাবে কীটনাশক স্প্রে করার জন্য কোনো কিছু আবিষ্কার করা যায় কি না? সেই চিন্তা থেকেই শুরু হয় তাঁর দ্বিতীয় প্রজেক্টের কাজ। তিন মাসের প্রচেষ্টায় সফল হন তিনি, তৈরি হয় ড্রোন; যে ড্রোন দিয়ে ধানক্ষেতে কীটনাশক স্প্রে করা সম্ভব।
সবুজ আরো জানান, তাঁর উদ্ভাবিত ড্রোনটি রিমোট কন্ট্রোল সিস্টেমের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। একই সঙ্গে এটাতে সংযোগ করা হয়েছে জিপিএস (গেøাবাল পজিশনিং সিস্টেম), এতে যেকোনো জায়গায় বসেই এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
সবুজের বাবা একরামুল সরদার জানান, সরকারি সহায়তা পেলে ছেলেটা আরো ভালো কিছু করতে পারত।
ইউপি সদস্য মো. শাহিন সরদার বলেন, সবুজের এই আবিষ্কার যদি সরকারিভাবে কাজে লাগানো যেত, তাহলে কৃষকের উপকার হতো।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

রাণীশংকৈলে ৩ ইউপি নির্বাচনে ২০১ মনোনয়ন দাখিল : আচরণ বিধি লঙ্গন!

সেতাবগঞ্জ রনগাঁও কাটাবাড়ি মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

দিনাজপুরে ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা জেলা রিপোর্ট প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন

ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ ২২ জনের মনোনয়ন পত্র দাখিল

ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ ২২ জনের মনোনয়ন পত্র দাখিল

বিরামপুরে সাংবাদিকদের সাথে আলতাফুজ্জামান মিতা’র মতবিনিময়

হরিপুর থানায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আনন্দ উদযাপন অনুষ্ঠান

ঠাকুরগাঁওয়ে ৩৩ বছর পর পুলিশের জমি উদ্ধার করলো ৩৩ নাম্বার ওসি

রাণীশংকৈলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ

ঠাকুরগাঁওয়ে ২১০ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক — ১ জন