দিনাজপুরের খানসামায় পুষ্টিগুণ সম্পন্ন, অনেক রোগ নিরাময় করে এমন লাভজনক ও উন্নত মাদ্রাজী জাতের ওলকচু চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কারিগরী সহায়তা ও পরামর্শে অল্প খরচে অধিক মুনাফা করে স্বপ্ন পূরণ করেছেন খানসামার কৃষাণ-কৃষাণীরা। ফলে বাণিজ্যিকভাবে ওলকচুর চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।
খাদ্যাভাসেন পরিবর্তনের কারণে এখন মানুষের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কন্দ তথা কচু জাতীয় ফসলের সংযোজন ঘটাতে এবং নিরাপদ ফসল উৎপাদন নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গত বছর খানসামা উপজেলায় প্রথমবারের মত মাদ্রাজী জাতের ওলকচুর চাষ হয়। সেই সাফল্য দেখে এবং কৃষি বিভাগের প্রচারণায় এবছর বেড়েছে ওলকচু চাষ। খানসামার মাটি ওলকচু চাষের উপযোগী ও কম খরচে বেশি ফলন পাওয়া যায়। ফলে নতুন নতুন চাষিও এতে উৎসাহিত হচ্ছেন। খানসামা উপজেলার ১৫জন কৃষককে ওলকচু চাষে সহায়তা করে কৃষি বিভাগ। উপজেলায় ৪ একর জমিতে ওলকচু চাষ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখে যায়, কৃষকরা এখন ওলকচু তুলছেন। এ ওলকচু বাজারে প্রতিকেজি ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
খামারপাড়া গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, দেশিজাতের ওলকচুর চেয়ে মাদ্রাজীতের কচুতে লাভ বেশি। কৃষি বিভাগের সহায়তায় ২০শতক জমিসহ নিজ উদ্যোগে আমি ৪০ শতক জমিতে ওলকচু চাষ করেছি। এতে খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা। ফলন হয়েছে ২ হাজার কেজি। যা বর্তমান বাজারমূল্যে বিক্রি করলে প্রায় আড়াই লাখ টাকা পাওয়া যাবে। এতে অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে অধিক লাভ।
খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় বলেন, এটি পুষ্টি সমৃদ্ধ ও নিরাপদ সবজি। উপজেলার মাটি ওলকচু চাষের জন্য উপযোগী। উপজেলায় ২০২০-২১ইং অর্থ বছর প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ওলকচুর চাষ হয়। ওলকচু চাষে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় চাষের জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকরা ভালো ফলন এবং ভালো বাজার মূল্য পাবেন। তাই চাষ আরও বাড়বে।