বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পৌরসভা এলাকার ২ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা মৃত আকালু মোহাম্মদের ছেলে বৃদ্ধ জমির উদ্দিন (৮৫) সহ তার পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশগনের পক্ষে মেয়ে জামাতা বাদশা মিয়া, দুলাল মিয়া, শহিদুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ করে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, মৃত ধনু মোহাম্মদের ছেলে আকালু মোহাম্মদ তার জীবদ্দশায় ১৯৭৭ সালে আপন সহোদর কফিল উদ্দিনের নিকট হতে বীরগঞ্জ থানার সুজালপুর মৌজার জে,এল,নং- ১৬৮, এস.এ খতিয়ান নং-৪২, দাগ নং- ৩৮৮, মোট দাগের পরিমান ৫.৯৬ একর তন্মধ্যে ১.০০ একর জমি ১১৭৭৪ কোবলা দলিলমূলে আকালু মোহাম্মদ, তার স্ত্রী সখিনা ও ঔরসজাত সন্তান জমির উদ্দিনের নামে ক্রয় করেন এবং ক্রয়কৃত জমির দখলাদি বুঝিয়ে নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে আবাদি ও বসতবাড়ি নির্মাণ করে ভোগদখল করতে থাকেন এবং তৎকালীন বীরগঞ্জ রাজস্ব( ভূমি) অফিসের আগত খতিয়ান নং- ৪২ হতে ৬৯৬ হোল্ডিং নং প্রাপ্ত হয়ে আকালু মোহাম্মদ, সকিনা খাতুন ও জমির উদ্দিনের নামজারি খারিজ খাজনাদি করিয়ে নেয়। আকালু মোহাম্মদের মৃত্যুর পর জমির উদ্দীন দীর্ঘকাল ধরে উল্লেখিত সম্পত্তি ভোগদখল করতে থাকে। পরবর্তীতে জমিদাতার দুই ছেলে ছলিমদ্দিন ও সমির উদ্দিন ১৯৭৭ সালের ৫৬০১ নং দলিলে পিতা কফিল উদ্দিনের নিটক হতে হেবাবিল এওয়াজ দলিলপত্র মোতাবেক উল্লেখিত বিক্রেয়কৃত জমিজমা নিজেদের নামীয় বলে দাবি করে জোরপূর্বক দখলের পায়তারা চালিয়ে যায়।পরবর্তীতে স্থানীয় ক্ষমতাধর জনৈক মদ বিক্রেতার প্রকাশ্য মদতে ছলি মদ্দিন, সমির উদ্দিন সহ একটি কুচক্রী মহল প্রাণনাশের বিভিন্ন হুমকি ধামকী প্রদশন পূর্বক বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে জমির উদ্দিন সহ তার পরিবারের সদস্যদের এই সম্পত্তি থেকে বিতাড়িত করে ও ক্ষমতার দাপট আর নগদ অর্থের বিনিময়ে নানান কারসাজি করে খারিজ খাজনাদি ছাড়াই একেরপর এক দলিল সৃষ্টি করে বিভিন্ন নামে এই সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। অতঃপর জাল জালিয়াতির মাধ্যমে খারিজ খতিয়ানকৃত ৬৯৬ হোল্ডিং হতে অংশ কেটে মোছাঃ সাবিহা খাতুনের খারিজ খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রতিপক্ষের নানান ষড়যন্ত্রে নিরুপায় হয়ে জমির উদ্দিন তার পরিবারের প্রাণ বাঁচাতে পার্শ্ববর্তী ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়ক সংলগ্ন জমিতে কুঁড়ে ঘর নির্মাণ করে দিনাতিপাত করতে থাকে। বর্তমানে বয়সের ভাড়ে নুয়ে পাড়া অসহায় বৃদ্ধ জমির উদ্দিন ও ওয়ারিশগনের একমাত্র অবলম্বন জমিজমার মালিকানার সপক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি । এরই পরিপ্রেক্ষিতে জমির উদ্দিনের ওয়ারিশগন সম্প্রতি উল্লেখিত জমিজমা নিজেদের দখলে নিয়ে বেড়া-চাটির ঘর নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন। এঘটনায় সাবিহা খাতুনের সন্তান বাবু,মুকুলসহ একটি ভাড়াটিয়া দল ঘরগুলো ভাঙতে আসলে জমির উদ্দিনের ওয়ারিশগণ এতে বাধা প্রদান করে। বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি দেখা দেওয়ায় বীরগঞ্জ থানা চত্বরে পুলিশ ও স্থানীয় গন্যম্যান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিকবার আপোষ- মিমাংসায় জমির উদ্দিনের মালিকানার সপক্ষে প্রয়োজনীয় দলিল পত্রাদি পেশ করলেও গত ৪ জুন-২০২২ ইং তারিখে আলোচনায় কোনো সুরাহা না হওয়ায় চরম আতংকে দিশেহারা হয়ে বিচারকের দ্বারেদ্বারে ঘুরছে বৃদ্ধের পরিবার। এ ব্যপারে বিজ্ঞ বীরগঞ্জ সহকারী জজ আদালত, দিনাজপুর এ মোকদ্দমা নং- ৫০/২০২২অন্য, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, দিনাজপুর এর মোকাদ্দমা নং-১৫১ পি/ ২০২২ সহ উভয় পক্ষে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। এমতাবস্থায় পুনরায় ২০ অক্টোবর ২০২২ইং বিবদমান জমিতে মৃতঃ এস,এম,এম,এ কাদেরীর ছেলে সৈয়দ আরশাদ আলী, দবির উদ্দিনের ছেলে তাজুল ইসলাম, দারিয়াপুর গ্রামের বুধা মোহাম্মদের ছেলে আব্দুল আজিজ সহ সংঘবদ্ধ দলের সদস্যরা উল্লেখিত জমি দখলের উদ্দেশ্যে বহিরাগত রাজমিস্ত্রী দিয়ে জমির বিভিন্ন অংশে জোরপূর্বক অন্যায় ভাবে স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করলে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নে নির্মাণ কাজ বন্ধের অভিযোগ এনে আবেদন করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংঘাত এড়াতে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ সরজমিনে তদন্তপূর্বক সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ করে দেন। ভুক্তভোগী এই বৃদ্ধের পরিবার আরোও অভিযোগ করে জানান, বিবাদী প্রতিপক্ষ অবৈধ টাকা, পেশি শক্তি ও গায়ের জোরে জমি দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিপূর্বে থানা প্রশাসন, পৌরসভার মেয়র সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ ও মামলা চলমান থাকা সত্বেও আইনকে তোয়াক্কা না করে ইচ্ছাকৃত সময় কালক্ষেপণ করছে। অপরদিকে বিভিন্ন সময়ে বিবাদীপক্ষ ভাড়াটিয়া মাস্তান বাহিনীর পাহাড়ায় নির্মাণ কাজের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে নানানভাবে হুমকি – ধামকি প্রদর্শন ও হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে সুবিচার চেয়ে পুলিশ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।