নবরূপীর আয়োজনে শাহজাহান শাহ ২য় নাট্যোৎসবে রোববার রাতে শতবর্ষী সৃজনশীল নাট্য সংগঠন দিনাজপুর নাট্য সমিতির প্রযোজনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রক্ত করবী অবলম্বনে সম্ভিত সাহা সেতুর সম্পাদনা ও নির্মানে ‘নন্দিনীর পালা’ নাট্য সমিতির মঞ্চে মঞ্চস্থ হলো।
নাটক শুরু হওয়ার পূর্বে নবরূপীর সভাপতি আব্দুস সামাদ, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মেহেরুল্লাহ বাদল, নাট্যোৎসব উপকমিটির আহবায়ক সুনীল চক্রবর্তী, নাট্য সম্পাদক শামীম রাজা ও ভারপ্রাপ্ত অর্থ সম্পাদক আতিকুর রহমান নিউ নাট্য সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউর রহমান রেজু, নির্দেশক সম্ভিত সাহা সেতুকে ফুল, উত্তরীয় উৎসবের ব্যাগ ও ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়।
সম্ভিত সাহা সেতু জানায় রবীঠাকুরের রক্ত কবরী অবলম্বনে সমকালিন বিশ্বের নতুনতর অর্থ রাজনীতিক ব্যাখ্যায় সম্পাদিত হয়েছে নন্দিনীর পালা। এ নাটকের রাজা ধনতন্ত্রের আর রঞ্জন সমাজতন্ত্রের রূপক। রবীন্দ্র নাথ যখন এ নাটক লিখেছেন তখন ধনতন্ত্রের জয়গান ছড়িয়ে পড়েছে দিকে দিকে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ফেসিবাদের শক্তি মাথাচাড়া দিচ্ছে আর পটভ‚মি তৈরী হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের। উত্থান করছে সমাজতন্ত্রে। এপালায় নন্দিনীর সয়ং রূপক চরিত্র। আর প্রকৃতি সব সময় সাম্যের পক্ষে, সমাজতন্ত্রের পক্ষে। আধুনিক সভ্যতার যুগ হলো হরনের যুগ। এ পালায় রঞ্জনের মৃত্যু হয় রাজার হাতে। অর্থাৎ ধনতন্ত্রের হাতে সমাজতন্ত্রের রাজনৈতিক মৃত্যু।
এ নাটকের যারা অভিনয় করেছেন তারা হলেন, রঞ্জন- এমডি ওয়াসিফ, বিশু বাউল – শেখ ছগীর আহমেদ কমল, অধ্যাপক – জিয়াউল হক সিজার, কিশোর- আঙ্গুর ভট্টাচার্য্য, গোকুল – রুবায়েত হোসেন রাব্বী, রাজা- কনক চন্দ্র রায়, ফাগুলাল – টংকনাথ অধিকারী, চন্দ্রা- কোরাইশা আক্তার স্মৃতি, সর্দার – জাহেদ উল নবী, গোসাই- চন্দন সরকার, পালোয়ান- মোঃ তরিকুল আলম, প্রহরী- আসাদুজ্জামান বাবু ও নন্দিনীর চরিত্রের সুপ্রীতি গোস্বামী। মঞ্চে জাহেদুল নবী, আলো- চন্দন সরকার, আবহ সঙ্গীত- অমিত দাস, পোষাক- আসাদুজ্জামান বাবু, রূপ সজ্জা- টংকনাথ অধিকারী। নন্দিনীর পালা নাটকে মঞ্চ আলো আবহ সঙ্গীতে ছোট খাটো সমস্যা থাকলেও নাটকটি দর্শকদের মন জয় করেছে। নন্দিনী চরিত্রে সুপ্রীতি গোস্বামী চরিত্রের সাথে একদম মিশে গেছেন।