মঙ্গলবার , ১ নভেম্বর ২০২২ | ২৮শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরের আনন্দ সাগরে দর্শনার্থী ও পূণ্যার্থীদের ভীড়ে মুখরিত সাড়ে ৩ শত বছরের গোষ্ট মেলা ও পুজায়

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
নভেম্বর ১, ২০২২ ৭:৩০ অপরাহ্ণ

দিনাজপুর প্রতিনিধি \
সাড়ে ৩ শত বছর ধরে চলে আসা ভগবান শ্রী কৃষ্ণ ও রাধার আরাধনায় এ গোষ্ট পুজা ও দিনব্যাপী মেলায় ভক্তদের মিলন মেলায় পরিনত হয়।
মঙ্গলবার ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্য ও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনাজপুরে সনাতন ধর্মালম্বীদের শত শত বর্ষের উৎসব এ গোষ্ট মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
দিনাজপুর শহরের আনন্দসাগর শিবমন্দির প্রাঙ্গনে দিনব্যাপী প্রতি বছরের ন্যায় এবারও হিন্দু ধর্মালম্বীদের অতি প্রাচীনকালের গোষ্ট পূজা ও মেলায় হাজার হাজার দর্শনার্থী ও পূণ্যার্থী ভীড়ে মুখরিত হয়ে উঠে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে দিনাজপুর রাজবাটীস্থ কালিয়াজিউ মন্দির থেকে রাধা-কৃষ্ণের মূর্তি নগ্ন পদব্রজে আনন্দসাগর এলাকায় শ্রী শ্রী গোষ্টধাম শিব মন্দিরের পার্শ্বে নিয়ে আসা হয়। সেখানে আলাদা করে রাধা কৃষ্ণ রেখে বাদ্য বাজনা নিয়ে পূজা ও ভক্তদেরকে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। পূজা উপলক্ষ্যে বসে দিনব্যাপী মেলা। ১৭৫২সাল থেকে এই গোষ্ঠ পূজা এবং দিনব্যাপী মেলা হয়ে আসছে।
পূজা ও মেলা দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে সনাতন ধর্মপ্রাণ হাজার হাজার দর্শনার্থী ও পূণ্যার্থীরা এখানে আসেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের মতে, বিশেষ এ দিনটিতে সকলের মঙ্গল কামনা করেছেন তারা।

নগ্ন পদব্রজে আনন্দসাগর এলাকায় শ্রী শ্রী গোষ্টধাম শিব মন্দিরে আসা রাজু বিশ্বাস জানায়, প্রচলিত আছে, গোষ্ট অষ্টমীর দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কালিয়া নাগকে দমন করেছিল। এছাড়াও আশি^ন-কার্তিক মাসে অভাবের কারনে এ অঞ্চলের মানুষ বলে থাকেন গোষ্ঠ গেলে কষ্ঠ শেষ হয়ে যায়। কার্তিক মাসে নতুন ধান উঠে আর ঘরে ঘরে শুরু হয় নবান্ন উৎসব।
পূজারীদের মতে, কালিপূজার পরের অষ্টমীকেই গোষ্ট অষ্টমী বলা হয়। এই দিনে মূর্তি নিয়ে আসা হয়, আবার পূজা শেষে রাজবাড়ীতে প্রতিমাকে নিয়ে যাওয়া হয়। মহারাজার চিরাচরিত প্রথা ও ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী এই উৎসব পালিত হয় বলে আয়োজকরা জানায়

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও