পঞ্চগড় প্রতিনিধি\ ঘড়ির কাটা ১২টা। তখনও সূর্যের দেখা নেই। এরপর কুয়াশা ভেদ করে মেঘ সরে গিয়ে দেখা যায় সূর্যের মূখ। রোদের উত্তাপ শুরুর সাথেই বইতে শুরু করে হিমালয় থেকে আসা হিমশীতল বাতাস। বিকেলে এই রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত কনকনে শীতল বাতাস অব্যাহত ছিল। কনকনে শীতের কারণে বিকেল হতেই অনেকের বাড়িতে খড়কুটো জ্বেলে আগুন পোহাতে দেখা গেছে শীতার্ত মানুষগুলোকে। আর গবাদিগশুকে গায়ে চট জড়িয়ে রাখতে হয়েছে সারাদিনই।
গত শুক্রবারের পর থেকে কুয়াশার পরিমান কমে গেলেও সোমবার সন্ধ্যা থেকেই আবার শুরু হয় কুয়াশা। মধ্যরাত থেকে ভারী কুয়াশায় ঢাকা পড়ে পঞ্চগড়। ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক মহাসড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল করতে হয় খুব ধীরগতিতে। সকাল পর্যন্ত ভারী কুয়াশা ঝড়েছে বৃষ্টির পানির মত। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে ঘন কুয়াশার সাথে মেঘাচ্ছন্ন আকাশে সূর্য হারিয়ে যায়। দুপুর পর্যন্ত যানবাহন চলাচল করে হেল লাইট জ্বালিয়ে। এরপর কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের দেখা মিললেও রোদের দেখা মেলেনি। বেলা গড়িয়ে যাওয়ার পর থেকে কিছুটা রোদের উত্তাপ শুরুর পরই বইতে শুরু করে হিমালয় থেকে আসা কনকনে শীতল বাতাস। পেটের তাগিদে কুয়াশা আর কনকনে শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেরিয়েছে শ্রমজীবি মানুষরা। বিকেলে থেকে খড়–কুটো জ্বেলে আগুন দিয়ে শরীর উষ্ণ করতে দেখা গেছে গ্রামাঞ্চলের অনেক বাড়িতে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়ায় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, মঙ্গলবার তেঁতুলিয়ায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি মঙ্গলবারের দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা। এর আগের দিন সোমবার তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনি¤œ মাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।