দিনাজপুরে প্রসবজণিত ফিস্টুলা রোগীর জটিলতা সম্পর্কে সচেতনতা বিষয়ে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পার্বতীপুর ল্যাম্ব হাসপাতালের আয়োজনে ও ইউএনএফপিএ ফিস্টুলা প্রকল্পের কারিগরি সহযোগিতায় এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুল মোকাদ্দেস। এসময় তিনি ফিস্টুলা প্রতিরোধে প্রসূতি মায়েদের বাড়ীতে বা অদক্ষ ধাত্রি দিয়ে প্রসব না করিয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রসব করানোর আহবান জানান। আগামী দুই বছরের মধ্যে বিরল উপজেলাকে ফিস্টুলামুক্ত করারও ঘোষণা দেন।
সভায় ফিস্টুলার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আব্দুলাহ আল মামুন।
বিরল প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএ কুদ্দুস সরকার’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ল্যাম্ব হাসপাতালের সিএইচডিপি’র পরিচালক উৎপল মিনজ ও ফিস্টুলা প্রকল্পের ম্যানেজার মোঃ মাহতাব উদ্দিন লিটন,
বিরল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মতিউর রহমান, দৈনিক বর্তমানের দিনাজপুর প্রতিনিধি মাহবুবুল হক খান, খোলা কাগজের বিরল প্রতিনিধি মোঃ মোজাম্মেল হক সামু, মোহনা টিভির দিনাজপুর প্রতিনিধি সুবল চন্দ্র রায় ও দৈনিক যুগান্তরের বিরল প্রতিনিধি মোঃ আতিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় ফিস্টুলা সম্পর্কে নিজ নিজ মিডিয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশের আহবান জানানো হয়।
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে ২০ হাজার ফিস্টুলা রোগী রয়েছে এবং প্রতিবছর প্রায় দুই হাজার ফিস্টুলা রোগী যুক্ত হয়। ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিরল
উপজেলায় ২৩ জন ফিস্টুলা রোগী সন্দেহে পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে পজেটিভ সনাক্ত হয় ও সুস্থ হয়েছে ৮জন। সভায় জানানো হয়, ফিস্টুলা প্রতিরোধযোগ্য। ফিস্টুলা আক্রান্ত রোগীকে দ্রুততার সাথে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে সেবা গ্রহণ করার আহবান জানানো হয়। সভায় আরো জানানো হয়, পার্বতীপুরে অবস্থিত ল্যাম্ব হাসপাতালে ফিস্টুলা রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও পূণর্বাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। ফিস্টুলা রোগীদের এই হাসপাতালে নিয়ে সেবা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়।