ঠাকুরগাঁও: ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক সংঘটি হত্যাকান্ডে সারা দেশের মতো ঠাকুরগাঁওয়ে অসংখ্য নিরিহ বাঙ্গালী প্রাণ হারিয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এসব গণকবর।
জেলার চিহ্নিত এসব গণকবর সংরক্ষণ, গণহত্যা নির্যাতন স্থান চিহ্নিতকরণ, স্মৃতি ফলক স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসাম্প্রদায়িক ও গণমুখী ইতিহাস চর্চার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী ঠাকুরগাঁও জেলা ইউনিট।
শুক্রবার বিকালে স্থানীয় টিএফসি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী ঠাকুরগাঁও জেলা ইউনিটের সভাপতি মো: মাহমুদ হাসান।
সভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্যদেন- ঠাকুরগাঁও জেলা ইউনিটের উপদেষ্টা জিন্নাতুন নাহার, সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আনিসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফারজানা হক, আহজারুল ইসলাম, ফিরোজ আমিন সরকার, চঞ্চল, গোলাম রব্বানীসহ অনেকে।
সভায় জেলার বিভিন্ন স্থানে অরক্ষিত গণকবর সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত ছাড়াও গণহত্যা নির্যাতন কেন্দ্র চিহ্নিতকরণ এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।
এরআগে গণকবর সংরক্ষণে জেলার সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান ইএসডিও’র নির্বাহী পরিচালক ড.মুহম্মদ শহীদ উজ জামান এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ উপজেলার ইউনিটের সভাপতি সুরোধ চন্দ্র রায়ের সাথে সভায় মিলিত হন ইতিহাস সম্মিলনীর প্রতিনিধিগণ। ওই সভায় জেলার অরক্ষিত গণকবর সংরক্ষণে একমত প্রকাশ করা হয়।
এছাড়াও সভায় আগামী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর খুলনায় বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর ৮ম বার্ষিক সম্মেলন এবং গণহত্যা জাদুঘরের উদ্যোগে আন্তির্জাতিক সেমিনারে অংশ গ্রহণে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেমিনারে ঠাকুরগাঁও জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ফারজানা হক প্রবন্ধ উপস্থাপনের জন্য নির্বাচিত হওয়ায় সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়।