গণহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে ওয়াজিফা সামাদ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাদ্দেক হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আসাদুজ্জামান বাসু। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক আজহারুল আজাদ জুয়েল। আলোচনা করেন ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী খুশি। সভা সঞ্চালন করেন ওয়াজিফা সামাদ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বিথি সাহা।
আলোচনাকালে প্রধান অতিথি আসাদুজ্জামান বাসু বলেন, আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি তাদেরকে অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করতে হয়েছে। বিরল দখল করতে গিয়ে আমাদের সাথে পাকিস্তানি সেনাদের প্রায় সাত ঘন্টাব্যাপী তুমুল যুদ্ধ হয়েছিল। গেন যুদ্ধে ৩১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হয়েছিল। হানাদার সেনারা ২৫ মার্চ থেকে শুরু করে বাংলাদেশ স্বধীন না হওয়া পর্যন্ত সারাদেশেই গণহত্যা চালিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের করুণ সেই দিনগুলোর কষ্ট ও আত্মত্যাগের কথা সকলের জানা দরকার।
বিশেষ অতিথি আজহারুল আজাদ জুয়েল বলেন, অপারেশন সার্চলাইটের নামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢাকাসহ সারাদেশে গণহত্যা শুরুর পর ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত রেখেছিল। বাঙালি জাতির অস্তিত্ব বিলীন করাই ছিল তাদের লক্ষ্য। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণেই বলে দিয়েছিলেন প্রতিরোধের। হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দুর্গ গড়ে তোলার। তাই পাকিস্তানিরা সারাদেশে প্রতিরোধের শিকার হয় এবং রক্তের বিনিময়ে হলেও বাঙালি জাতি বাংলাদেশকে হানাদার মুক্ত করতে সমর্থ হয়।
সভাপতির ভাষণে মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার ইতিহাস তুলে ধরার জন্য নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সরকারের উদ্যোগ যেন সফল হয় এবং আমরা সবাই যেন মুক্তিযুদ্ধেও ইতিহাস সঠিকভাবে জানতে পারি সেই লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে।