চিরিরবন্দর প্রতিনিধি\ দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কে চিরিরবন্দরে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংষর্ষে দুই শিশুসহ একই পরিবারের চারজন নিহত এবং অটো চালকসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের চিরিরবন্দর উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়নের উচিতপুর বাজার সংলগ্ন শিবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার হরিরামপুর এলাকার শংকর রায়ের ছেলে উত্তম কুমার রায় (৩৫), তাঁর স্ত্রী পল্লবী রায় (৩২) ও তাঁদের ছেলে অর্ণব চন্দ্র রায় (৭), পল্লবীর ভাগিনা ও নবাবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের পলাশ চন্দ্র রায়ের ছেলে অপূর্ব চন্দ্র রায় (১০)।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন-পল্লবীর মা জ্যোতিকা রানী (৫০), ভাই শঙ্কর (৩০) ও পলাশ (৩৫)।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুর থেকে যাত্রীবাহী একটি বাস ফুলবাড়ীর শহরে আসছিল।অন্যদিকে নবাবগঞ্জ থেকে একটি অটোরিকশা দিনাজপুর শহরে যাচ্ছিল। চিরিরবন্দরের উচিতপুর বাজার শিবপুর এলাকায় পৌঁছালে বাস-অটোরিকসা মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়।
দূর্ঘটনার পর মহাসড়কে যানচলাচল প্রায় ঘন্টাব্যাপি বন্ধ থাকায় মহাসড়কের উভয়দিকে ১ কিলোমিাটার পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে দূর পাল্লার যাত্রীদের অসহনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলেই পৌঁছেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করে। কোচটি পলাতক রয়েছে।
চিরিরবন্দর থানার ওসি বজলুর রশিদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিবারের সবাই অটোরিকসায় নবাবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর থেকে দিনাজপুর সদর উপজেলার সিকদারহাটে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চিরিরবন্দর উপজেলার উচিতপুর এলাকায় আসা যাত্রীবাহী বাস অটোরিকসাটিকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে অটোরিকসার যাত্রী ঘটনাস্থলে দুইজন ও হাসপাতালে নেওয়া পর আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।গুরুতর আহত তিনজনকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. খালিদ হাসান জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারে ২৫ হাজার ও আহতদেরকে ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।