শনিবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিরিরবন্দরে দাবদাহে ঝরে পড়ছে আমের গুটি

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
এপ্রিল ২৯, ২০২৩ ১০:৪১ অপরাহ্ণ
চিরিরবন্দরে দাবদাহে ঝরে  পড়ছে আমের গুটি

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে বৈশাখ মাসের প্রচন্ড খরা ও দাবদাহে ঝরে পড়ছে আমের গুটি। টানা কয়েকদিনের প্রচন্ড দাবদাহে জনজীবন ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় ঝরে পড়ছে আমের গুটি। ভূট্টা, পাটসহ অন্যান্য ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এতে বাগান মালিকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। অনেকে আমের গুটি ঝরে পড়ারোধে বাগানে পানি সেচ দিচ্ছেন। তাতেও তেমন কোন কাজ হচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৯৩৮ হেক্টর জমিতে আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ হাজার মেট্রিকটন।
কৃষি বিভাগ আপদকালীন এ দুর্যোগে দিনে অন্তত দুই বার বাগানে পানি সেচ ও আমের ডগায় পানি ছিটিয়ে দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কয়েকজন আম চাষির সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রথমে আম গাছগুলোতে ভালোই আমের মুকুল ধরে ছিল। পরিচর্যা করায় সেগুলো টিকেও ছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রচন্ড খরায় পানি শুন্যতার কারণে আমের বোঁটা লাল হয়ে গুটিগুলো আস্তে আস্তে মাটিতে ঝরে পড়ছে। তারা আরো জানান, যদি এমনিভাবে আম ঝরে পড়তে থাকে তাহলে আমাদের ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে। এ নিয়ে আম বাগান মালিক ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। এ সময় আমের গুটি বড় হয়। কিন্তু প্রচন্ড তাপদাহের কারণে আমের গুটিগুলো ঝরে পড়ে যাচ্ছে। তারপরেও অনেকে গাছের পরিচর্যা করছেন। কিছু বাগান মালিক ডিজেল চালিত শ্যালোমেশিন দিয়ে গাছের গোড়ায় পানি সেচ দিচ্ছেন। জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি সেচ দিতে অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হচ্ছে।
কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা গেছে, গাছের নিচে আমের গুটি বিছিয়ে পড়ে আছে। কয়েকজন মৌসুমী আম ব্যবসায়ী ও চাষি জানান, প্রতিবছরই আমরা আম চাষ করি। কিন্তু এ বছরের মতো এমন প্রতিকূলতার মধ্যে কোনোবারও পড়িনি। মৌসুমের শুরুতেই গাছে মুকুল ভরা ছিল। আমের গুটিও ভালোই ধরেছিল। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার দরুণ গুটিগুলো ঝরে পড়ে যাচ্ছে। গাছে শতকরা প্রায় ৩৫-৪০ ভাগ আমের গুটি নেই। ফলে এ বছর আমের ফলনে বিপর্যয় ঘটতে পারে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা শারমিন জানান, গত কয়েক মাস ধরে আকাশের বৃষ্টি হয়নি। ফলে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। তাপমাত্রাও বেশি। অতিরিক্ত খরার কারণে আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে। বাগানের মাটি শুকিয়ে যাওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য আম চাষিদের সকল প্রকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে বাগানগুলোতে শতভাগ সেচ দেয়া অসম্ভব। দ্রুত সময়ের মধ্যে আকাশের বৃষ্টি না হলে আমের ফলনে বিপর্যয় হতে পারে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

চিরিরবন্দরে ড্রামট্রাক, ১০০কেজি গাঁজাসহ আটক ৩

ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের উদ্যোগে ১ কেজি ১৬০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার ও ৪ আসামী আটক এবং ১৭ টি ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তি

বীরগঞ্জে বাড়ছে শীতের তীব্রতা নিম্নের মানুষেরা দুর্ভোগে

রাষ্ট্র কাঠামোকে নির্মমভাবে হত্যা করে বিএনপি রাষ্ট্র মেরামতের কথা বলছে -মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি

হাবিপ্রবিতে “ইন্টার ডিসিপ্লিনারি রিসার্চ অ্যান্ড সাস্টেইনেবল ইকনোমি” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

ঠাকুরগাঁওয়ে সালন্দর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে —প্রস্তুতিমূলক আলোচনা সভা

মরিচা ইউপি’র সফল চেয়ারম্যান হেলাল চৌধুরী আবারও দলীয় মনোনয়ন চান

বোচাগঞ্জে এলইডি লাইট ও অদক্ষ চালকের হাতে অটো রিক্সায় ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা

খানসামা থানায় নতুন ওসি’র যোগদান

​হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় অভিযানে র‍্যাব