হাকিমপুর সংবাদদাতা \ ভারত থেকে আমদানির ফলে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। একদিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়; যা সোমবারও বিক্রি হয়েছিল ৭৫ টাকা দরে। অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৪০ টাকা দরে মোকামগুলোতে বিক্রি হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়। তবে ভারতীয় পেঁয়াজ এখন পর্যন্ত খুচরা বাজারে আসেনি। ভারতীয় পেঁয়াজ খুচরা বাজারে এলে আরও দাম কমে যাবে বলছেন ব্যবসায়ীরা। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলে কোরবানি ঈদে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক থাকবে বলে জানান আমদানিকারকরা।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে। এই খবরে আমি হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে এসেছি। বাজারে এসে দেখি এখন পর্যন্ত কোনো ভারতীয় পেঁয়াজ খুচরা বাজারে আসেনি। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। তবে দেশি পেঁয়াজ আগের থেকে ১০ টাকা কমে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে ৬৫ টাকা দরে ৫ কেজি দেশি পেঁয়াজ কিনলাম।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ফলে মোকামগুলোতে কমতে শুরু করেছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে হিলি বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এবং হিলি স্থলবন্দরের মোকামগুলোতে আমদানিকারকরা ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। গতকাল হিলি স্থলবন্দর দিয়ে তিনটি ভারতীয় ট্রাকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আজকে যদি বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হয়। তাহলে আগামীকাল হিলির খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ আমরা বিক্রি করতে পারবো। সেই সঙ্গে দামও কমে যাবে।
হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, সোমবার (৫ জুন) প্রথম দিনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে তিনটি ট্রাকে ৬৩ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।