রুহিয়া প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও উপজেলার রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও একই বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরীর বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে পাকা দোকান ভেঙ্গে দেওয়া সহ মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২৩ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধা ৭ টায় এ ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষক সেনিহাড়ী গ্রামের মোঃ এনামুল হকের ছেলে মােঃ আলম মাস্টার (৪৫) ও মােঃ মােজাহারুল ইসলাম (৪০), পিতাঃ মৃত জমসেদ আলী। দুইজনই ৭নং সেনিহারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।
এই ঘটনায় দোকানের মালিক মোঃ নুর ইসলাম ২ জনকে অভিযুক্ত করে রুহিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, অভিযুক্ত শিক্ষক মােঃ আলম মাস্টার ও নৈশ প্রহরীর মােঃ মােজাহারুল ইসলামের সাথে অাগে থেকে বাদী মোঃ নুর ইসলামের বাবার কবলা জমি নিয়ে বিরােধ চলছিল। বিগত কয়েকবার কবলাকৃত জমির ১৭০৯ ও ১৬৯২ দাগ নাম্বারে তারা জোরপূর্বক ভাবে নিজ দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে। বর্তমানে সেই জমিতে ইটের দোকান ঘর করা হয়েছে। ঘটনার দিন ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭ টায় বিবাদীরা হাতে লােহার কুড়াল, হাতুড় দিয়ে ইটের ঘর ভেঙ্গে দেয়। ঘর ভাঙ্গার কারণ জানতে চাইলে তাদের হাতে লােহার কুড়াল, হাতুড় দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
দোকান ঘরের মালিক নুর ইসলাম বলেন, আলম মাস্টার ও তার পরিবারের সাথে জায়গা-জমি নিয়ে অামাদের পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জেরধরে তারা আগেও অামাদের উপর হামলা করেছে, আমি দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। অামি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।
এদিকে অভিযুক্ত মাস্টার মোঃ আলম প্রতিবেদককে হামলা, ভাংচুরের কথা অস্বিকার করে বলেন, আমি হামলা করিনি। কতজনের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত হয়েছে পারলে আমাকে জানাবেন।
অপর অভিযুক্ত নৈশ প্রহরী মােঃ মােজাহারুল ইসলাম জানান ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি জন্য মামলা মোকদ্দমা হলে উভয়পক্ষের পয়সা খরচ হবে। আলোচনা করে সমাধান করতে হবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: আসির উদ্দীন বলেন, ঘটনার বিষয় শুনেছি, তবে বিষয়টি নতুন নয়। তাদের বিচার করা দায় হয়ে যায়।
রুহিয়া থানার ওসি চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, আপস মিমাংসার মাঝে দোকান ঘরে হামলার ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।